28 December 2017

দাফনের পূর্বে দোয়া-মোনাজাত নিয়ে চাঁদপুরের রামপুরের সুন্নী ও কওমিদের বাহাসের ফলাফল

ধর্মীয় ডেস্কঃ সম্প্রতি জানাযা নামাজের পর দাফনের পূর্বে দোয়া-মোনাজাত করায়, কতিপয় লোক আপত্তি করার করনে পরবর্তীতে এ বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা প্রকট আকার ধারণ করলে, মহাময়া রামপুরেরর আদর্শ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন দ্বীপক্ষিয় বাহাস বৈঠকের আহবান করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ৫নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সহযোগীতা চাইলে, তিনি তার ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে বর্ণিত বিষয়ে উভয়পক্ষের ৫ জন করে আলেম ও দিন তারিখ নির্ধারণ করে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সে মোতাবেক ১৮-০৭-২০১৭ইং দুপুর ১২টা থেকে বাহাস শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব মামুনুর রহমান।


বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেনঃ-

অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতী যাকারিয়া চৌধুরী আল-মাদানী।
অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতী ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
বিষয়ঃ- জানাযা নামাজের পর দোয়া-মোনাজাত করা মুস্তাহাব।

জানাযার পর মোনাজাত

পক্ষের ৫ জন মুনাজেরঃ-
১। আল্লামা মুফতী রুহুল আমীন মানসুরী।
২। আল্লামা মুফতী আবদুর রব আল-কাদেরী।
৩। আল্লামা মুফতী মুহম্মদ শাহ আলম।
৪। মুফতী ড. খাজা বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী।
৫। আল্লামা মুফতী সৈয়দ যাকারিয়া উদ্দীন জিলানী।

জানাযা নামাজের পর মোনাজাতের বিপক্ষের ৫ জনের মধ্যে ২জন উপস্থিত ছিলেনঃ-
১. মাওলানা হারুনুর রশিদ।
২. মাওলানা সিফাত উল্লাহ।

বাকি তিন জন অনুপস্থিত ছিলেন।

দুই পক্ষের আলোচনায় বিপক্ষের আলেমগন হাদীস শরীফের ভুল ব্যাখ্যা দিলে তার প্রদত্ত ব্যাখ্যা সম্পর্কে দলিল বা পূর্বকার মুহাদ্দিসগনের রেফারেন্স তলব করা হলে তা দিতে ব্যার্থ হন এবং এ সম্পর্কে জানা নাই বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে পরাজয় বরণ করেন।

পক্ষান্তরে, ফিকহ, উসূলে ফিকহ এবং বুখারী শরীফ সহ বিভিন্ন হাদীস শরীফের উদৃতি দিয়ে জানাযার পর দোয়া-মোনাজাত মুস্তাহাব প্রমান করায় বিচারকগন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের পক্ষে রায় দেন। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেনঃ আল্লামা মুফতী মোখতার রেজা মাসুমী, আল্লামা মুফতী সাজ্জাদ হোসেন রনী।


শেয়ার করুন

0 facebook: