স্টাফ
রিপোর্টারঃ টানা নয় বছর ক্ষমতায়। দেশের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নের গতিও কম নয়।
সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ পরিচিত একটি দেশ বিভিন্ন কারনে। তবে সবথেকে বেশি পরিচিত হয়েছে
রোহিঙ্গা ইস্যুতে। কারন বাংলাদেশ যে মানবতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে তা নজিরবিহীন।
সব সূচকেই বাংলাদেশের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক। কিন্তু তবুও খুশি নন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উনার মন খরাপ।
মন খারাপের
কারনঃ বছর শেষে তিনি মনে করেন,
আরো এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর
ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটাই বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনার সমকর্মীদের
সবার কাজে খুশি নন, তিনি
যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে চান,
সেভাবে নাকি তাল মেলাতে পারছেনা অনেকেই। অদক্ষতার চেয়ে দুর্নীতি
বড় একটি সমস্যা।
প্রধানমন্ত্রীর
ধারণা, বার
বার সামরিক শাসন, মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা বিরোধীদের ক্ষমতাগ্রহণ এবং অগণতান্ত্রিক শক্তির নীতির কারণে বাংলাদেশে দুর্নীতি
একটি বিষবৃক্ষের মতো বেড়ে চলেছে। তাঁর মতে, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের মর্মন্তুদ ঘটনা না ঘটলে
বাংলাদেশ আরো আগেই উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতো। দুর্নীতি সেখান থেকেই ডালপালা
মেলেছে। এখন দুর্নীতি হঠাৎ করেই বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
কিন্তু
এসবই না, সরকারের
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে দেশকে এগিয়ে নেবার জেদ কম। বরং তাঁরা একটি চাকরি করে
ব্যক্তিগত জীবনযাপনকে সুখময় করতেই মনোযোগী। প্রধানমন্ত্রী এরকম খুব কম কর্মকর্তাই পেয়েছেন, তাঁরা
চাকরিকে জনকল্যাণের ব্রত মনে করেন।
একইভাবে, মন্ত্রিসভার
অনেকের কাজেই সন্তুষ্ট নন প্রধানমন্ত্রী। কারো কারো দুর্নীতির খবর তাঁকে মাঝে মাঝেই
দুঃখিত করে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেয়া যায় না, কারণ
এতে দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। যাদের তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন তাঁরা বিনিময়ে দেশের
জন্য কিছুই করতে পারেননি। নতুনদের কাজেও প্রধানমন্ত্রী খুব একটা সন্তুষ্ট না। এজন্যই
নয় বছরে বাংলাদেশ অনেক এগুলেও খুশী নন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, আরো দ্রুত
এগিয়ে যেতে হবে। দক্ষতার চেয়ে আদর্শিক সততা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি মনে করেন, আদর্শিক
সততায় হলো দেশপ্রেমের ভিত্তি। দেশপ্রেম ছাড়া জনগণকে ভালোবাসা যায় না, দেশকে
এগিয়ে নেয়া যায় না।
আগামী
বছর এই সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বছর। অনেক কাজ বাকী। সেই কাজগুলো শেষ করার জন্য
আরো নিষ্ঠার সাথে কাজ করার তাগিদ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ধারণা তিনি
সকলের মধ্যে প্রোথিত করতে চান যে,
সরকার পরিচালনা মানে ভোগ বিলাস না বরং জনগণের সেবা করার গুরুত্বপূর্ণ
ও কঠিন দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী কি পারবেন, নতুন বছরে তাঁর স্বপ্নের মতো একটি টিম তৈরি
করে কাঙ্ক্ষিত দেশকে বিজয়ের নোঙরে নিতে?
0 facebook: