স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গাজীপুরে ২৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে আমাদের। ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেহেতু হচ্ছে না, সেহেতু কবে, ক’দিন সময় দেওয়া হবে তা নিয়ে কমিশন ১৩ মে বৈঠকে বসবে। ওই সভায় নির্বাচনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হবে। রবিবার বিকাল তিনটায় সিইসি ও অন্য কমিশনারদের নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আসার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার পরে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিবকে নিয়ে বৈঠক করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। তারপরই ইসি সচিব কমিশনের অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি জানান, গাজীপুরের ভোট স্থগিত করেছিল আদালত। আপিল বিভাগ ওই আদেশ বৃহস্পতিবার স্থগিত করে এবং ২৮ জুনের মধ্যে ভোটের কথা বলেছে।
রমজানের সময় ভোট করা হবে কিনা এবং প্রচারণার জন্যে বাকি থাকা ৭ দিন সময় দেওয়া হবে কিনা বা রোজার পরে ভোট হবে কিনা জানতে চাইলে কমিশন সচিব বিষয়গুলো সভায় আলোচনা হবে বলে জানান।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত রমজান মাসে কোনো সাধারণ নির্বাচন করা হয় না। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ততা, বাস্তবতা ও ভোটের পরিবেশ বিবেচনায় অতীতে বড় ধরনের সাধারণ ও উপ নির্বাচন করা হয় নি। তবে ১৯৯৪ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে (মেয়র হানিফ) মাত্র তিনটি কেন্দ্রের উপ নির্বাচন রমজানে হয়েছিল। নির্বাচনে বড় বড় ব্যবধানে মেয়র হানিফ নির্বাচিত হলেও তৎকালীন স্থানীয় সরকারের আইনের কারণে ওই উপ নির্বাচন করতে হয়।
এরপরে আইনি সংশোধনও হয়। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যয় সীমার কথা বিবেচনা করেই ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। তবে ধারণা করা হচ্ছে আগামী ঈদের পর হতে পারে ভোট। সেক্ষেত্রে ২৪ ও ২৬ জুনকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
0 facebook: