ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ১৯৯৬ সালে ডিএসইতে মোট ২০৫টি সিকিউরিটিজের ১০ কোটি ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৯২টি শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ ২ হাজার ৯৯০ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭১৩ টাকার লেনদেন হয়েছিলো। সেখান থেকে ৪ হাজার ৩৬৭ দশমিক ০৩ শতাংশ বেড়ে ২০১৮ সালে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ১৮২টাকায়। ৫৭৯টি সিকিউরিটিজের ৩ হাজার ৩৫৮ কোটি ৫৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৮টি শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ এ লেনদেন হয়েছে।
লেনেদেনের পাশাপাশি বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে রুপান্তরিত হয়েছে। ডিএসই ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হয়েছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) ডিমিউচুয়ালাইজডের পথে।
এদিকে দেশের অর্থনীতির আকার অনুসারে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়াতে দেশি-বিদেশি, সরকারি-বেসরকারি ভাল ভাল কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্ত করতে কাজ করছে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
এ বিষয়ে ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে কাজ করছি। বাজারে উন্নয়নে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে লিস্টেড করতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনও (বিএমবিএ) আমাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পাশাপাশি রেগুলেশন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করেছে বিএসইসি। সে কারণে এ সময়ে বেশি-বিদেশি বড় বড় কোম্পানি লিস্টেড হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারের আকার বেড়েছে আড়াইশ গুণের বেশি। এখন একটি শক্তভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছেও বাজার।
১৯৯৩ সালের ৮ জুন প্রতিষ্ঠানটির যাত্রার শুরুর দিন ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিলো ১ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ছিলো ১৪৯টি। সেখান থেকে গত ২৫ বছরে বাজারের আকার আড়াইশ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকায়। তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৯টিতে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: