নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের
আন্দরকিল্লাসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিনামূল্যে বিতরণের বই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু চিহ্নিত অসাধু
শিক্ষক-কর্মচারী মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এসব বই বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করছে।
চিহ্নিত এ চক্রটি
নানাভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন ‘বড়
ভাই’ বা নেতার নাম ব্যবহার করে কৌশলে রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ নগরীর একটি দোকান থেকে বিভিন্ন
শ্রেণির ২৮৩টি সরকারি বই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ সময় প্রকাশ বিচিত্রার মালিকের ভাই হাশীষ
তালুকদার জুয়েলকে (২৮) আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দা
পুলিশের পরির্দশক ইলিয়াছ খান বলেন, রবিবার রাতে আন্দরকিল্লা এলাকায় গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে বই উদ্ধার ও মালিকের ভাইকে আটক করি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি বই ব্যবসায়ীরা কিছু শিক্ষক ও
কর্মচারীর কাছ থেকে এসব বই সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রির জন্য।
ধারণা করা হচ্ছে, কিছু
অসাধু শিক্ষক-কর্মচারী স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে বইগুলো সংগ্রহ করার
পর খোলা বাজারে বিক্রি করে। তবে
এসব বই কীভাবে, কাদের কাছ থেকে আনা হয় সে বিষয়ে জুয়েলকে
জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নাম
প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ও একাধিক দোকানদার বলেন, বিভিন্ন
স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারীদের কাছ থেকে তারা বইগুলো কম
দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করেন। এসব
বই পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া কারও কাছে বিক্রিও করেন না।
বিনামূল্যের প্রতিটি বই ২০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়। জানা যায়, রবিবার রাতে উদ্ধার করা
বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রথম শ্রেণির ৩০টি বাংলা বই, ১৭টি গণিত, ১৮টি
ইংরেজি, দ্বিতীয় শ্রেণির ২৩টি বাংলা, পাঁচটি অঙ্ক, ১৩টি
ইংরেজি, চতুর্থ শ্রেণির ১৮টি বাংলা, ১৪টি অঙ্ক, ১৫টি
ইংরেজি, সাতটি বিজ্ঞান, চারটি বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি এবং
পঞ্চম শ্রেণির ১২টি বাংলা বই। আরও
রয়েছে- ষষ্ঠ শ্রেণির তিনটি বিজ্ঞান, চারটি বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি, নবম-দশম
শ্রেণির ১৬টি বিজ্ঞান, ছয়টি করে উচ্চতর গণিত, ভূগোল
ও পরিবেশ এবং তিনটি করে রসায়ন বই।
একইভাবে
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ি প্রথম শ্রেণির নয়টি করে অঙ্ক ও বাংলা, দ্বিতীয়
শ্রেণির ছয়টি করে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও পঞ্চম শ্রেণির ১২টি
করে ইংরেজি ও বিজ্ঞান বই উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
খবর বিভাগঃ
চট্টগ্রাম বিভাগ
বিভাগীয় সংবাদ
0 facebook: