স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে পাঁচ দিনব্যপী আনন্দমুখর বিজয় উৎসবের শেষ
দিন ছিল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর)। এতে উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।
কথা হয়েছে তিস্তা ইস্যু নিয়েও।
দিল্লি
দূতাবাসের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী তার সমাপনী ভাষণে অনেকটা এভাবেই বলেন যে, যা ইউরোপ পেরেছে তা আমারও পারবো। আগামী দিন
আসছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাতায়াত করতে ভিসা লাগবে না! আগামীর জন্য যে স্বপ্ন দেখা
হচ্ছে, তা
মোটেও অলীক না। শুধু বাস্তবায়ন হওয়ার পথে।
তিনি
বলেন, দুই
দেশের নাগরিক পরিচয়পত্র,
একটি বিশেষ পদ্ধতির মধ্যে আনার প্রক্রিয়া চলছে বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে।
যাতে পরিচয়পত্র দেখালেই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত বিনা ভিসায় সহজেই করা যাবে। আশা করা
যায়, এই
পরিকল্পনা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। তবে এই ভিসাহীন যাতায়াত হবে ধাপে
ধাপে। কূটনীতিক, সরকারি
কর্মচারী, সিনিয়র
সিটিজেন, অসুস্থ
ব্যাক্তি ও সব শেষে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে সীমানার প্রবেশ পথ। এটা আজ
স্বপ্ন নয়, প্রক্রিয়াটি
পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে।
তার বক্তব্য
শেষ হতেই দর্শক আসন থেকে কয়েক সেকেন্ড ধরে চলে হাততালি। তিনি আরও বলেন, আমার
জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারবো কি না জানিনা। তবে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার হেভিওয়েট মন্ত্রী। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু
মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভারতের পক্ষে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রালয়ের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু
কান্যার নেতৃত্বে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। যেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ৭.২৮ শতাংশ সেখানে
পাকিস্তানের ৫.২৮ শতাংশ। যেখানে বাংলাদেশে শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ, পাকিস্তানের
৫৮ শতাংশ। যেখানে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারের মধ্যে ২৮টি সেখানে পাকিস্তানে
৬২। যেখানে বাংলাদেশে গড় আয়ু ৭১.৬ সেখানে পাকিস্তানে ৬৭ বছর।
তিনি
বলেন, ওরা
(পাকিস্তান) একদিন বলেছিল তাদের ছাড়া নাকি আমদের চলবে না। তারা যত আমাদের বিব্রত করবে, তত আমরা
বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবো। আর তারা তত পেছাবে। বাংলাদেশে সবাই এক। আমরা
পরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান।
আগে আমরা বাঙালি। এটাই আমাদের আসল পরিচয়।
ওবায়দুল
কাদের ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়,
(ছবি: বাংলানিউজ)
শেষে
মিষ্টি বাক্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভারত
সরকার তিস্তার বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সবরকম সহযোগিতা করবে বলেছে। আমি চাই পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাদের সহযোগিতা করুক। তিনি শুধু রাজ্যের দিদি নন, আমাদেরও
দিদি। আমারও ওনাকে যথেষ্ট ভালোবাসি। আমরা চাই দিদি আমাদের সমস্যাটা বুঝে সহযোগিতা করবেন।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
জাতীয়
0 facebook: