Showing posts with label আন্তর্জাতিক. Show all posts
Showing posts with label আন্তর্জাতিক. Show all posts

01 December 2019

ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত চার শতাধিক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ! (ভিডিও)

ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত চার শতাধিক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ! (ভিডিও)


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গত দুই মাসে প্রায় চার শতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে। তাছাড়া আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে হাজারখানেক। যদিও এরই মধ্যে গোটা দেশে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় শিয়াপন্থি জ্যেষ্ঠ নেতা মুকতাদা আল সদর।

বিবিসি নিউজ জানায়, বিক্ষোভে উত্তাল ইরাকে গত দুই মাস যাবত প্রায় চার শতাধিক লোকের প্রাণহানির পর হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী আবদেল আবদুল মাহদির। যদিও এর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মাথায় সমর্থকদের প্রতি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান শিয়াপন্থি জ্যেষ্ঠ নেতা মুকতাদা আল সদর।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ইরাকি জনগণকে সড়কে থাকার নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ভবিষ্যৎ সরকারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন প্রার্থীর পক্ষে একমত হওয়ার আহ্বান জানান পার্লামেন্টের সাইরুন ব্লকের শিয়াপন্থি এই নেতা।

মুকতাদা বলেন, ‘গত দুই মাস যাবত চলা এই আন্দোলনের প্রথম সাফল্য হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মাহদির পদত্যাগ। এবার জাতিগত ও সাম্প্রদায়িকতার বিষয় বিবেচনা করে নতুন মন্ত্রিসভাকে নিয়োগ দিতে হবে।

গত অক্টোবরের ১ তারিখ দেশটিতে চাকরির ব্যবস্থা, দুর্নীতি বন্ধ এবং আরও উন্নত জনসেবার দাবিতে বাগদাদে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। এরপর তা দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ইরাকের এই সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত চার শতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে। তাছাড়া আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে হাজারের অধিক বেসামরিক নাগরিক।


27 November 2019

প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষের কারনেই ঐতিহাসিক আগ্রার নাম বদল করতে চায় ভারত!

প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষের কারনেই ঐতিহাসিক আগ্রার নাম বদল করতে চায় ভারত!


স্টাফ রিপোর্ট।। বদলে যাচ্ছে ইসলামিক স্থাপত্যের শহর আগ্রার নাম। সেই সাথে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে মুসলমানদের সব গৌরব গাথা। উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্টির উন্নয়ন নয়, হিন্দু মুসলিম বিভক্তিকরণ সৃষ্টি করতেই যেন উঠে পড়ে লেগেছে।

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় ইউপি সরকার তাজমহলের জন্য বিখ্যাত আগ্রার নাম পরিবর্তনের চিন্তা ভাবনা করছে। এ লক্ষে আগ্রার আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্মরণাপন্ন হয়ে  নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি ইতিহাস সম্পৃক্ত নতুন নাম খুজেঁ বের করবে। ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর সুনেম আনন্দ এ তথ্য জানিয়ে স্বীকার করে তারা এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ ইতিহাস উল্টিয়ে দেখে নতুন নাম খুজেঁ বের করবে।

আগ্রার ইতিহাসঃ মধ্যযুগে মুসলিম শাসক সিকান্দর লোদি ১৫০৪ খৃষ্টাব্দে কৌশলগত সুবিধার জন্য রাজধানী দিল্লী থেকে আগ্রায় স্থানান্তর করেন। তখন থেকেই আগ্রার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম মোঘল সম্রাট আকবর লোদি শাসককে পরাজিত করে আগ্রা দখর করেন। আগ্রাকে রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে মোঘল শাসক আকবর এখানে গড়ে তোলেন আগ্রা ফোর্ট বা দুর্গ। এ দুর্গ হয়ে উঠে মোঘল শক্তি ও বীর্যের প্রতীক।

১৬ শতকের শেষের দিকে মোঘল সম্রাট আকবর ফতেহপুর সিক্রিতে নতুন রাজধানী গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিলেও এ অঞ্চলে পানির তীব্র সঙ্কটের কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মোঘল শাসক শাহজাহান প্রিয় স্ত্রী মমতাজের স্মৃতি রক্ষার্থে   যমুনার তীরে নির্মাণ করেন তাজমহল। ১৬৪৮ সালে শাহজাহান রাজধানী পুনরায় দিল্লীতে স্থানান্তর করলেও অদ্যাবধি তাজমহল আকর্ষণ হারায়নি। প্রতি বছর ১৬ লাখ পর্যটক এ ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখতে ভারত সফর করে থাকে।

পর্যটন খাত থেকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রাজস্ব আহরণ করে থাকে ভারত সরকার। আগ্রা দুই বছর আগে সংবাদ শিরোনাম হয়, যখন ইউপি প্রাদেশিক সরকার ট্যুরিস্ট ডিরেক্টরি থেকে আগ্রার তাজমহলের নাম মুছে দেয়।

নানা সমালোচনার মুখে পুনরায় অবশ্য নামটি প্রতিস্থাপিত করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে এটি ভারতীয় ইতিহাস থেকে ঐতিহাসিক ইসলামিক স্থানসমূহ ও ইতিহাস মুছে দেয়ার ঘৃণ্য শড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। জহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের  ইতিহাস বেত্তা  প্রফেসর আদিত্য মুখার্জি বলেন, দারিদ্রতা, শিক্ষা সুযোগের অভাব ও অর্থনৈতিক স্থবিরতার মতো ইস্যু থাকলেও সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ না করে হিন্দু মুসলমান বিভক্তিকরণের কাজ কেন করা হচ্ছে এটাইতো চিন্তার বিষয়। ভারত যে মতাদর্শ নিয়ে গঠিত হয়েছিল এ সিদ্ধান্তগুলো তার সাথে যায় না।

ক্ষমতায় আসার পর নানা জায়গার নাম পরিবর্তন করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। মুঘলসরাই রেল স্টেশনের নাম হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন। এলাহাবাদের নাম হয়েছে প্রয়াগরাজ। ফৈজাবাদ জেলার নাম অযোধ্যা। এবার পালা আগ্রার। কিন্তু কেন হঠাত্ এই প্রাচীন শহরের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব? যোগী সরকারেরই একাংশ বলেছে, এলাকার অনেকের বিশ্বাস, অতীতে এই শহরের নাম ছিল অগ্রবন। যোগী সরকার চায়, সেই নামেই এই শহরকে ফের ডাকা হোক। এ কারণেই ইতিহাসবিদদের শরণাপন্ন হয়েছে তারা। তারা জানতে চাইছে, কবে, কোন অবস্থায় অগ্রবনের নাম আগ্রা হয়েছিল।

যোগী সরকার অগ্রবননামটির পক্ষে হলেও আগ্রার বহু বাসিন্দা অবশ্য মনে করেন আগ্রার প্রাচীন নাম ছিল আকবরবাদ।আকবরের আমলে এই শহরটি এই নামে পরিচিত ছিল বলে মনে করেন তারা। তবে অগ্রবন হোক বা আকবরবাদ, আগ্রার ট্যুরিস্ট গাইডরা নাম পরিবর্তনের বিষয়টিতে আদৌ খুশি নন। তারা বলেছেন, গোটা পৃথিবীই তাজমহলের কারণে এই শহরকে আগ্রানামেই চেনে। রাতারাতি নাম বদলে ব্যবসায়ে ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবে, ভারতের মুসলিমরা নয়ঃ অমিত শাহ

বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবে, ভারতের মুসলিমরা নয়ঃ অমিত শাহ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, পার্সি, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মাম্বলী মানুষদের নাগরিকত্ব দিতেই সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনতে চলেছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে মুসলিমদের নাম উচ্চারণ করেনি সে।

বুধবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নে অমিত শাহ বলে, পড়শি দেশগুলিতে ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সিদেরই শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এসব দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদেরই এ দেশে শরণার্থী হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে।

যার থেকে স্পষ্ট, ওই দেশগুলিতে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষদের অর্থাৎ মুসলিমদের ঐ দেশে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার।

নাগরিকত্বের বিষয়ে মুসলিমদের উপর সরকার কী ভাবনা চিন্তা করছে। এ প্রশ্নে সরাসরি উত্তরে না গিয়ে অমিত শাহ বলেন, এনআরসি তৈরির ক্ষেত্রে কোনও ধর্মকে নিশানা করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতেই সব কিছু হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস যাই হোক না কেন, দেশের সব নাগরিকেরই নাম নথিভুক্ত হবে এনআরসি তালিকায়। দেশের সর্বত্র এনআরসি হবে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। সকলকে এনআরসি-র আওতায় আনতেই এই প্রক্রিয়া।

আসামে নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে ইতিমধ্যেই ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু ফরেনার্স ট্রাইবুনালে তাঁরা আবেদন করতে পারে বলে এ দিনও জানায় অমিত শাহ।

এর আগে অমিত শাহ ও বিজেপি নেতারা বারবার বলেছে যে ভারত থেকে কথিত সকল মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে তাড়ানো হবে। বিশেষ করে তাদের বাংলাদেশি বলে চালিয়ে দেওয়া ছিলো তাদের ভাবনায়।
বাবরি মসজিদের জমি উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ ভারতীয় সুপ্রীমকোর্টের

বাবরি মসজিদের জমি উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ ভারতীয় সুপ্রীমকোর্টের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। বাবরি মসজিদের জমি উগ্র হিন্দুত্ববাদীদেরকে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ  দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সেই সাথে মসজিদের জন্য আলাদা জমি বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী আদালত।

ভারতে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে মুসলিমদের মসজিদের জমি মন্দির তৈরির জন্য বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মসজিদ তৈরির জন্য আলাদা স্থানে পাঁচ একর জমি দেয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় অযোধ্যা মামলার রায়। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিল বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির।

এর আগে সর্বাসম্মতিক্রমে শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি খারিজ করে আদালত। গত মাসের ১৬ তারিখে শেষ হয় মামলা নিয়ে ৪০ দিনের শুনানি। রায়ে বলা হয়, বিভিন্ন প্রমাণদির ভিত্তিতে দেখা গেছে বাবরি মনজিদ কোনও ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়নি। এটির মাটির নিচে কাঠামো ছিল।  তবে সেটি মন্দির বা মসজিদের কাঠামোর কিনা সে ব্যাপারে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

উগ্র হিন্দুত্ববাদীদেরকে জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য সরকারকে তিন মাসের মধ্যে ট্রাস্ট বোর্ড তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আর মসজিদের জন্য আলাদা স্থানে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।  তবে রায়ের শুরুতেই শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।

এদিকে, রায়কে ঘিরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।  অযোধ্যাসহ উত্তর প্রদশের সব জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।  সোমবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল কলেজ। উত্তর প্রদেশে মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত ১২ হাজার নিরাপত্তারক্ষী।

তবে, কথিত মুসলিম ও উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নেতারা ঘোষণা দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় তারা মেনে নেবে।

উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তর প্রদেশের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, পশ্চিমবঙ্গের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা শান্তি বজায় রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে।

ষোড়শ শতকে নির্মিত ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালে ভেঙে ফেলে উগ্রবাদী হিন্দুরা। তাদের দাবি, সেখানে রামমন্দির ছিল। ২০১০ সালে এলাহাবাদ আদালত, বাবরি মসজিদের জায়গা বিবাদমান পক্ষগুলোকে সমানভাগে ভাগ করে দেয়ার রায় দেয়। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে জমা পড়ে ১৪টি আবেদন।

11 November 2019

বাবরি মসজিদ রায়ে দেশবাসীর ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটেছেঃ মোদি

বাবরি মসজিদ রায়ে দেশবাসীর ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটেছেঃ মোদি

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ভারতের বহুল আলোচিত অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের রায় দিয়েছে আদালত। এছাড়া মসজিদ নির্মাণের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে রায়ে। এই রায়ের সমালোচনা করে মতামত তুলে ধরেছেন অনেকে। আবার এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। আর সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে নতুন ভারতের সূচনা হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রায় নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মোদি বলেন, ‘সবার বিকাশ, সবার বিশ্বাস।সংবিধানের উপর বিশ্বাস রাখা জরুরি। সময় লাগলেও ধৈর্য বজায় রাখা জরুরি। নতুন ভারতে ভয়ের কোনো জায়গা নেই। ৯ নভেম্বর করতারপুর করিডরের উদ্বোধন। ৯ নভেম্বরই অযোধ্যা রায়ও হল। ৯ নভেম্বর বার্লিন প্রাচীর ভাঙা হয়। কয়েক দশকের ইতিহাস জড়িয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সবপক্ষের কথা শুনেছে। আজকের দিন সোনালি দি। রায়ের দিকে সবাই তাকিয়েছিলেন। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের এখানেই স্বার্থকতা। দেশবাসী ভাল মনেই রায় মেনেছেন। ভারতের গণতন্ত্র মজবুত।’

এসময় তিনি বলেন, ‘আজ এমন এক মামলার রায় হল যার দীর্ঘদিনের ইতিহাস রয়েছে। দেশবাসীর ইচ্ছে ছিল অযোধ্যা মামলার রায় হোক। অবশেষে সেই রায় এসেছে। এতদিন বিশ্ব জানত ভারত সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু, আজ বিশ্ব জানতে পারছে গণতন্ত্রের ভিত্তি কতটা শক্তিশালী। এবার নয়া ভারতের সূচনা হবে। নতুন ভারত বিশ্ব জয় করবে। সব কা সাথ-সব কা বিকাশের মাধ্যমেই হবে নতুন ভারতের সূচনা।’