স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ৩ সন্তানের জনকের, ৫৫ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম মাদবরের সঙ্গে প্রতিবেশি ১৩ বছর
বয়সী কিশোরী তাছলিমা বেগমের (১৩) পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দু’জনের মধ্যে অবৈধ মেলামেশার কারণে একপর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী
হয়ে পড়ে।
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট
উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত কিশোরীর বাবা গোসাইরহাট থানায় ৫ জনকে আসামি
করে বৃহস্পতিবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেছেন। গোসাইরহাট থানা
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে হাতেনাতে স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা ও তার সহোদরকে গ্রেফতার
করে কোর্টে সোপর্দ করেছে। মামলার মূল আসামিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গোসাইরহাট থানা
পুলিশ জানায়, গোসাইরহাট উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামের
ইউসুফ আলী খানের কিশোরী মেয়ে তাছলিমা বেগমের (১৩) সঙ্গে প্রতিবেশী ৫৫ বছর বয়সী ৩ সন্তানের
জনক নুরুল ইসলাম মাদবরের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দু’জনের মধ্যে অবৈধ মেলামেশার কারণে একপর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী
হয়ে পড়ে। এ খবর জানাজানি
হলে লোকলজ্জার ভয়ে নুরুল ইসলাম মাদবরের স্ত্রী আয়েশা খাতুন কিশোরীর গর্ভের সন্তান গর্ভপাত
করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন।
তিনি কিশোরী তাছলিমাকে
নিয়ে বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ছুটোছুটি করেন। গত বুধবার উপজেলার
কুচাইপট্টি একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত
স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা মাজেদা বেগম তাছলিমা বেগমকে নিরাপদে গর্ভপাত করার জন্য তার গ্রামের
বাড়ি কোদালপুর ইউনিয়নের ভুলু সরদারপাড়া গ্রামে নিয়ে যান।
স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা
মাজেদা বেগম কিশোরী তাছলিমাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজ বাড়িতে গর্ভপাতের সময় না
হওয়ার পরেও গর্ভপাত ঘঠাতে গিয়ে কিশোরী তাছলিমা মারা যায়।
এ ব্যাপারে নিহত
কিশোরীর মামা সিরাজুল আকন বলেন, আমার ভাগ্নিকে গর্ভপাতের
নামে নুর ইসলাম মাদবর ও তার স্ত্রী আয়েশা হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে গোসাইরহাট
থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের
পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
ধর্ষণ
0 facebook: