স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ এবারের
টঙ্গীর ইজতেমায় ভারতের তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আগমনের প্রতিবাদে
রাজধানীর বিমানবন্দর চত্বরে বিক্ষোভ চলছে।
বুধবার
দুপুর ১২টার দিকে তাবলিগ জামাতের একাংশের মুসল্লিরা এ বিক্ষোভ শুরু করেন বলে সাংবাদিকদের
জানান বিমানবন্দর থানার ওসি মুহম্মদ নূরে আযম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, মুসল্লিরা বিমানবন্দর চত্বরে অবস্থান নেয়ায় প্রধান সড়কে তীব্র
যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য,
মাওলানা সাদ ‘তাবলিগ করা ছাড়া কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না’ বলে বক্তব্য দেয়ায় তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ভারতের দারুল উলুম
দেওবন্দ মাদ্রাসা।
সেখান
থেকে মাওলানা সাদকে এ বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তিনি উল্টো
যুক্তি দেন। এ নিয়ে মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একপর্যায়ে দেওবন্দ
মাদ্রাসার অনুসারী বাংলাদেশের আলেমরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা তাকে টঙ্গীতে
ইজতেমায় আসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তাবলিগ
জামাতের বাংলাদেশ শাখার ১১ শূরা সদস্যের মধ্যে ছয়জনই আলেমদের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন
করেন। এর পর গত ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের
সঙ্গে আলেমরা সাক্ষাৎ করে মাওলানা সাদের ঢাকা সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানান।
এর
পর দিন যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় মাওলানা সাদকে নিয়ে বৈঠকে
বসেন তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি ও কওমি আলেমদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি। এতে বাংলাদেশ তবলিগের
শূরা সদস্য ও উপদেষ্টারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন ইজতেমায় মাওলানা সাদের উপস্থিত
না থাকার পক্ষে মত দেন। তারা হলেন- বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার মুহাদ্দিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, তাবলিগের শূরা সদস্য মাওলানা মোহাম্মাদ যোবায়ের, মাওলানা মুহাম্মাদ হোসাইন ও মাওলানা ফারুক, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানী, তাবলিগের শূরা সদস্য মাওলানা উমর ফারুক ও মাওলানা রবীউল হক, শাইখ জাকারিয়া, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের
পরিচালক মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ, হাটহাজারীর মুফতি কেফায়াতুল্লাহ, মাওলানা মুফতি মোহাম্মাদ আলী ( মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের
প্রতিনিধি), ভারত সফরকারী প্রতিনিধি দলের সদস্য জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল
মাওলানা মাহফুজুল হক। তবে এ বৈঠকের পর দিন ৮ জানুয়ারি ঢাকার কাকরাইলের মুরুব্বি প্রকৌশলী
সৈয়্দ ওয়াসিফুল ইসলাম টঙ্গীর ইজতেমায় মাওলানা সাদকে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি
দেন।
গত
কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছর ১২ জানুয়ারি ও ১৯ জানুয়ারি দুই দফায় টঙ্গীতে তাবলিগ
ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফায় ১৪ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় দফায় ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাত
অনুষ্ঠিত হবে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ধর্ম ও জীবন
0 facebook: