স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ পবিত্র ইসলাম ধর্মে পর্দা করা ফরজ হওয়ায়, আর ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু পবিত্র মক্কা শরীফ এবং মদিনা শরীফ হওয়ায় সেখানে শতভাগ পর্দা করা হতো, কিন্তু পশ্চিমা ধাঁচের যুবরাজ মুহম্মদ বিন সালমানের হাতে ক্ষমতা আসার পর থেকেই রক্ষনশীল সৌদি হয়ে উঠেছে বিপরীত। গতো কয়েকমাসে অনেক হারাম থাকা জিনিসের সাথে এই প্রথমবারের মতো মাঠে যেয়ে ফুটবল খেলা দেখা হালাল বলে অনুমতি পাচ্ছেন সৌদি নারীরা। তবে মাঠে যাওয়ার অনুমতি পেলেও গ্যলারি থাকবে আলাধা। যদিও পুরুষশূন্য আলাদা গ্যালারির ‘পারিবারিক সেকশনে’ সবাইকে থাকতে বলা হয়েছে তবুও গ্যলারির ভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা যাবে তাদের। শুক্রবার সৌদি সরকারের তরফে এই অনুমতির ঘোষণা দেয়া হয়। জেদ্দার রেড সি শহরে শনিবার স্থানীয় দুই দলের একটি খেলা উপলক্ষে ঐতিহাসিক এই ঘোষণা আসে।
সৌদি সরকার বলছে,
তাদের
সামাজিক সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নারীদের ‘বড় ধরনের অধিকার’
দিতে
এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাজধানীর স্টেডিয়ামে নারীদের জন্য খেলা হয়েছে ‘পারিবারিক
বিভাগ’। সেখানে থাকবে আলাদা বিশ্রামকক্ষও। রিয়াদের জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার সকাল
থেকে নারীরা মাঠে যেতে পারবেন।
সৌদিতে গত কয়েক
বছরে নারী অধিকার রক্ষার কর্মকাণ্ড গতিশীল হয়েছে। পূর্বে হারাম থাকলেও এখন তারা
একা একা গাড়িও চালাতে পারেন। সৌদি যুবরাজ মুহম্মদ বিন সালমান দেশটির
সমাজব্যবস্থাকে আধুনিক করতে ও অর্থনীতিকে গতিশীল করতে বিভিন্ন পরিবর্তন আনার
চেষ্টা করছেন। আগে সৌদি আরবে নারীদের শতভাগ ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে রাখা হতো। ভ্রমণ,
কর্মক্ষেত্র
বা স্বাস্থ্যগত কোনো কারণে বাইরে যেতে হলে পুরুষ মাহরাম সহ বা অভিভাবকের লিখিত
অনুমতি নিতে হতো তবে এখন থেকে আর তা লাগবেনা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্ম ও জীবন
ধর্মীয় বিদ্বেষ
0 facebook: