স্বদেশবার্তা
ডেস্কঃ পাবনার বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা খানম সাংবাদিকের
উপর চড়াও হয়ে কথা বলে আবার চুপসে গেছেন। কোনো সাংবাদিকের ফোনই তিনি এখন আর ধরছেন না। এমনকি তার অফিসের নম্বরে ফোন করলেও তা রিসিভ করছেন না।
গত বুধবার ‘ম্যাডাম’ না বলে আপা বলে সম্বোধন করায়
স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ওপর চটে গিয়েছিলেন ফারজানা খানম। এ সময় ইউএনও উত্তেজিত হয়ে ঐ
সাংবাদিককে বলেন, আপনি কতদিন ধরে সাংবাদিকতা
করেন। আপনি জানেন না একজন ইউএনওকে
স্যার বা ম্যাডাম বলতে হয়।
এরই
পরিপ্রেক্ষিতে স্বদেশবার্তা সহ সকল শ্রেণীর গণমাধ্যমে ইউএনও এর এই ফালতু আচরণের
ব্যাপারে নিউজ হলে তা অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায় এবং সকল শ্রেণীর মানুষের থেকে ইউএওকে
তিরষ্কার করে মন্তব্য আসতে থাকে, যার কারণে বিষয়িটি নিয়ে
প্রশাসন থেকে ফারজানা খানমকে সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে
সাংবাদিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে প্রশাসনের সম্মান হানি যেন না ঘটে সেদিকেও
খেয়াল রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাবনা জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র বলেছে, বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ যাত্রায় মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে এবং
কিছু পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ‘ম্যাডাম বা স্যার’ সম্ভোধন পেতে
আগ্রহী ইউএনও ফারজানা খানমের সঙ্গে গতকাল সারাদিন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও
তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তার অফিসের টিএনটি
নম্বরে কল করা হলেও রিসিভ করা হয়নি।
উল্লেখ্য,
বুধবার বিকেলে পেশাগত কাজে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও সময়
টিভি’র পাবনা প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ মুঠোফোনে ইউএনও
ফারজানা খানমের বক্তব্য জানার জন্যে ফোন করেন। মুঠোফোনে আলাপের এক পর্যায়ে তাকে আপা বলে সম্মোধন করায় তিনি
ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ সময় তার সাথে অনেক
বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে ওই
সংবাদকর্মী সদ্য বিদায়ী পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোকে আপা বলে সম্মোধন
করার বিষয়টি অবহিত করলেও ইউএনও ফারজানা খানম বলেন, স্যারের বিষয়টি জানি না। আমাদের চাকরিতে নিয়মকানুন আছে অবশ্যই আমাকে স্যার বা ম্যাডাম বলে সম্মোধন করতে
হবে। অন্য কারোর সাথে আমাকে বিবেচনা
করা যাবে না।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
জেলা সংবাদ
0 facebook: