স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং শামীম ওসমানকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হওয়া এবং শামীম ওসমানের পক্ষে হওয়া কিছু মন্ত্যব পাঠকদের নিকট তুলে ধরা হলো।
১৯৭৫ সাল হঠাত ফোন এলো, তর স্বামীকে মন্ত্রীসভায় যোগ দিতে বল। ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ির সেই রক্তাক্ত ইতিহাসের কালি মুছতে না মুছতে
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক পরিবার শামচুজ্জোহার বাড়িতে এই টেলিফোনটি আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে একটি কন্ঠ বলে ওঠে আমি খন্দকার মোসতাক।
তখন এই প্রান্ত
থেকে শামীম ওসমানের মা উত্তর দিতে গিয়ে বলেছিলেন, যদি আমার স্বামী মন্ত্রিসভায় যোগ দেয় তাহলে হয়
তাকে আমি মারবো না হয় আমি নিজে মরবো। এমন পিতা ও মায়ের সন্তান শামীম ওসমান। তার পিতা মৃত্যুর আগে সন্তানদের বলেছিলেন আমার তিন সন্তান
যেনো বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নেয় এটাই আমার শেষ চাওয়া।
বিয়ের নববধূ
রেখে বড় ভাই তার মায়ের গহনা ও স্ত্রীর গহনা নিয়ে ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার
প্রতিশোধ নিতে ঘর ছেড়েছিলেন। এগুলো গল্প নয় শতভাগ সত্যি ইতিহাস। আর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা কিছু কথাও
জানতে পারবেন। যাই হোক গত কিছুদিন শামীম
ওসমান ও সেলিনা হায়াত আইভির বিষয়টি নিয়ে বার বার নিউজ হচ্ছে; আলোচনা, সমালোচনা চলছে।
শ্রদ্ধেয় আইভি
রহমান একজন ডাক্তার পেশার মানুষ ছিলেন। তার বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন সমৃদ্ধ নেতা। বাবার অনুসারী হয়ে তিনিও রাজনীতিতে আসেন। পৌর মেয়র হন দুবার। এরপর মেয়র পদে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে বিজয়ী হলেন। আপনাদের মনে আছে নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপি নেত্রী
তাদের প্রার্থীকে জোর করে নির্বাচন থেকে বয়কট করিয়ে সব ভোট আইভিকে দেন?
কিন্তু কেন?
কারণ বিএনপি নিশ্চিত ছিল বিএনপি জিততে পারবে না তাই জামায়াত
ও বিএনপি এক হয়ে সব ভোট আইভিকেইই দেন। দিলেন কাটা দিয়ে কাটা তুলতে। কেন শামীম ওসমানকে আটকাতে বিএনপি নিজ দলের প্রার্থীকে জবাই করলেন? এর পিছনে ইতিহাস আছে। ইতিহাস হল সেই তরুণ বয়সে যখন স্কুলে গোলাম আজমের বই
পড়াচ্ছিলেন স্কুলের মাস্টার। তখন তার মাথা ফাটিয়েছিলেন এই গড ফাদার। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের গাড়ী আটকিয়েছিলেন এই গড ফাদার।
যুদ্ধাপরাধী
রাজাকার ক্ষ্যাত আলিম চৌধুরী সহ সকল এমপি মন্ত্রীদের নারায়ণগঞ্জে আসা বন্ধ
করেছিলেন এই গড ফাদার। নিজামী সাহেব মুজাহিদ সাহেবদের ও কখনো ঢুকতে
দেননি এই গড ফাদার। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর
আটকিয়েছিলেন এই গড ফাদার। ঢাকায় আওয়ামী লীগের জনসভা হলে এক থেকে দেড় লক্ষ লোকের মিছিল নিয়ে ঢাকার
জনসভাকে সাফল্যমণ্ডিত করেন এই গড ফাদার।
সারাদেশ জানে
শামীম ওসমান একটা নাম, সংগ্রাম, ত্রাস। প্রিয় সেলিনা হায়াত আইভি আপনি কথায় কথায় উদ্যত সুরে ওসমান পরিবার নিয়ে বাজে
বকেন। কথায় কথায় শামীম ওসমানকে নিয়ে
তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। একজন ডাক্তার হয়ে আপনার আচরণ
হবে বিনম্র। অথচ আপনার উচ্চস্বরে কথা বলা
বড়ই বেমানান। আওয়ামী লীগ এক বড় যাদুর কাঠি।
এখানে ঠিকঠাক
থাকলে কেউ বার বার সমৃদ্ধ হয়। আবার যদি কখনো কেউ পাকানামি করে তাহলে তাকে আস্তাকুড়ে নিবৃত্ত করা হয়। শামীম ওসমানকে এই দেশের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রিয় সকলে
ভালবাসে। শামীম ওসমানেরা পথ ঘাট
পরিষ্কার করেছিলেন বলেই আপনি নারায়ণগঞ্জবাসীর মেয়র। ভাল, মন্দ বুঝিনা। গড ফাদার, মাদার বুঝি না। আমরা বুঝি শামীম ওসমান শেখ হাসিনার বিপদের সময়ে
পরীক্ষিত সেনা। তাই তাকে অন্ধের মতন শত কষ্টেও
ভালবাসি। ভালবাসি এমন একজন গড ফাদারকে। আমি এমন গড ফাদার বারে বার হতে চাই।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
রাজনীতি
0 facebook: