স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে সফররত রাশিয়ার কৃষিবিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার লেভিন সারজে এলভোভিসসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়ের এক পর্যায়ে রাশিয়ায় তৈরি
পোশাক রফতানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধার সুযোগ চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তোফায়েল আহমেদ
বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বড় রফতানি বাজার। শুল্ক ও আর্থিক লেনদেনের কিছু জটিলতার কারণে রাশিয়ার
বাজারে প্রত্যাশামতো বাংলাদেশি পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাশিয়া বাংলাদেশকে
প্রায় ৭১টি পণ্য রফতানিতে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছে। কিন্তু বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে এ
বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন,
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে বাংলাদেশ কিছুদিন
আগে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সদস্য হতে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ এ কমিশনের সদস্যপদ লাভ
করবে। তখন রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য
করতে কোনো জটিলতা থাকবে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশকে তৈরি পোশাক
রফতানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবধা প্রদান করলে রফতানি অনেক বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়া সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন,
আগামী ২০২৫ সালের ‘ওয়াল্ড এক্সপো’-এর আয়োজক হতে চায় রাশিয়া। এ বিষয়ে আগামী নভেম্বরে সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশ এ ফোরামের সদস্য। এ বিষয়ে রাশিয়া বাংলাদেশের সমর্থন চায়। সদস্য দেশগুলো ভোট দিয়ে ‘ওয়াল্ড এক্সপো’-এর স্থান নির্ধারণ করে থাকে। এবারে মেলার আয়োজক হতে আগ্রহী রাশিয়া, ফ্রান্স, জাপান এবং আজার বাইজান।
তোফায়েল আহমেদ
বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়া বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে থাকে। রাশিয়া বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণে
প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটি দেশে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগ। পারমাণবিক
বিদুৎ কেন্দ্র ২ হাজার ৪০০ মে. ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। আগামী ২০২৪ সালে এটি চালু হবে। রাশিয়ায় বাংলাদেশের উৎপাদিত আলুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। রাশিয়ায় আলু রফতানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে
মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪৬৪.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৩৭ দশমিক
১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। রফতানি বাণিজ্যে জটিলতা দূর হলে রাশিয়া বাংলাদেশের রড়
রফতানি বাজার হবে।
এ সময় বাণিজ্য
সচিব শুভাশীষ বসু, অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হক,
ডব্লিউটিও সেলের ডিজি মুনীর চৌধুরী এবং অতিরিক্ত সচিব (রফতানি-২)
তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
খবর বিভাগঃ
ব্যবসা ও বাণিজ্য
0 facebook: