তিস্তা নিয়ে আলোচনা করতে ভারতে যাচ্ছ প্রতিনিধি দল!

স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ আরএসএস-এর মাধ্যমে মোদী সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সংখ্যালঘু তাসও খেলা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে এরকম দাবী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের।

তাই এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির কাছাকাছি পৌঁছতে চেষ্টা করছে বর্তমান এই ক্ষমতাশীল দলটি। তিস্তা চুক্তির মতো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বকেয়া বিষয়গুলি ভোটের আগেই দ্রুত নিস্পত্তি করতে চায় সরকার।

একারণেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১০ জন সংসদ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যাবেন। বিজেপি নেতা রাম মাধবের সঙ্গে বৈঠক এবং কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনার কথা রয়েছে এই সফরে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সফর অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই সফরে একই সঙ্গে দু’টি উদ্দেশ্য পূরণ করতে চাইছেন সরকারের শীর্ষ মহল।

আগামী মাসে ওবায়দুল কাদেরের সম্ভাব্য সফরকে সেই প্রেক্ষাপটেই দেখছেন কূটনীতিবিদরা। যদিও গত মাসে কলকাতায় কাদের জানিয়েছিলেন, ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে রাম মাধব আওয়ামি লিগ নেতৃত্বকে দিল্লি গিয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেই তাঁরা দিল্লি যাচ্ছেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে মমতার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি স্থির করা হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। মমতাকে গুরুত্ব না-দিয়ে, তাঁকে পাশ কাটিয়ে যত বারই অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা হয়েছে, ততবারই মুখ থুবড়ে পড়ছে তিস্তা চুক্তির প্রয়াস।

ঠিক সে কারণেই গত বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে পা দিয়েই বলেছিলেন, ‘‘মমতার সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি উদগ্রীব হয়ে রয়েছি।’’ সে বার হাসিনা-মমতা বৈঠকে বরফ না গললেও গুরুত্ব দিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আলোচনার পরবর্তী ধাপ হিসাবে ওবায়দুল কাদের মমতার শহরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন। বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও সফররত প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।

খবর বিভাগঃ জাতীয়

শেয়ার করুন