আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তালালের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে শনিবার তিনি মুক্তি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে। দুই মাসেরও
বেশি সময় আটক থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন সৌদি আরবের ধনাঢ্য এই ব্যবসায়ী প্রিন্স
আল ওয়ালিদ বিন তালাল। শুক্রবার বিলাসবহুল রিৎজ কার্লটন হোটেলে আটকাবস্থায়
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাতকারে কয়েকদিনের মধ্যে মুক্তির আশার কথা শুনিয়েছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে মার্কিন সংবাদমাধ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের
খবরে তার মুক্তিপণ হিসেবে ৬০০ কোটি ডলার দাবির কথা বলা হলেও আল ওয়ালিদ জানিয়েছেন এই
অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করবেন না তিনি। তবে শনিবার মুক্তি পাওয়ার বিনিময়ে কোনও চুক্তি হয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনও
পক্ষই তাৎক্ষনিকভাবে মন্তব্য করেনি।
গত বছরের
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এক রাজ ডিক্রির বলে সৌদি আরবে গঠিত হয় দুর্নীতি বিরোধী
কমিটি। যুবরাজ মুহম্মদ বিন সালমানের
নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি একদিনে আটক করে প্রিন্স আলওয়ালিদস ১১ জন ধনাঢ্য রাজপুত্র
এবং কয়েকজন ক্ষমতাসীন ও সাবেক মন্ত্রীকেও। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একরাতে ২০০ জনেরও বেশি অভিজাত ব্যক্তিকে আটকের কয়েকদিনের
মধ্যে এই সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যায়। এসব অভিজাতদের নিয়ে রাখা হয় সৌদি আরবের বিলাসবহুল হোটেল রিৎজ কার্লটন হোটেলে। পরে ‘দুর্নীতির অর্থ’ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত
দেওয়ার শর্তে তাদের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বেশ কয়েকজন রাজপুত্র ওই অর্থ ফেরত দিয়ে মুক্তি
পেয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কিংডম হোল্ডিংয়ের মালিক আলওয়ালিদ বিন
তালালের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানা যাচ্ছিল না।
শুক্রবার রিৎজ
কার্লটন হোটেলে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলওয়ালিদ জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের
সঙ্গে আলোচনায় তিনি দুর্নীতিতে নির্দোষ থাকার কথা বলে গেছেন। আশা করছেন কিংডম হোল্ডিংয়ের পুরো নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই
থাকবে। এর আগে খবর বের হয়েছিল
প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে চাইছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
রিৎজ কার্লটন
হোটেলে বন্দিদের ওপর আটকাবস্থায় নির্যাতন করা হচ্ছে বলে গুজবও ছড়ায়। তবে আল ওয়ালিদ বলেছেন, এই ধরনের গুজব উড়িয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবেই রয়টার্সকে
সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তিনি। এই রাজপুত্র বলেন, আটক অবস্থায় তার সঙ্গে ভালো
ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে গত
ডিসেম্বরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে প্রিন্স আল ওয়ালিদের
মুক্তিপণ হিসেবে ৬০০ কোটি ডলার দাবির কথা বলা হলেও তিনি জানিয়েছেন এই অর্থের
পরিমাণ প্রকাশ করবেন না। শনিবার তার পরিবারের এক সদস্য রয়টার্সকে বলেছেন তিনি বাড়ি পৌঁছেছেন। তবে এই মুক্তির বিষয়ে সৌদি
কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। জানা যায়নি কোন শর্তে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: