প্রতিকি
ছবিঃ ধর্ষিতা কিশোরী
|
এদিকে কথিত নির্যাতিতা দুই কিশোরীর বয়সও ডাক্তারগণ নিশ্চিত হতে পারেননি। তাই উন্নত পরীক্ষার জন্য অভিযুক্ত কিশোরীদ্বয়কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করার সুপারিশ করা হয়েছে। পার্বত্যনিউজের অনুসন্ধানে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ভাব্বার বিষয় এই যে, এই মেডিকেল রিপোর্টের ব্যাপারে মুখ খুলতে চায়নি কোনো পক্ষই।
রাঙামাটির ডেপুটি সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, দুই কিশোরীর পরিক্ষার রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া এ রিপোর্টের ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না বলে তিনি জানান। সিভিল সার্জন জানান, ওই কিশোরী পুলিশী হেফাজতে রাঙামাটি সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, কিশোরীদের বয়স নির্ধারণের জন্য রাঙামাটিতে এক্সরে মেশিন বা উন্নতমানের ফরেনসিক মেশিন না থাকায় বয়স নির্ধারণের জন্য পুলিশি হেফাজতে কিশোরীদের চট্টগ্রামে রোববার প্রেরণের সম্ভবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জানান, বিজ্ঞ আদালত ওই দু’কিশোরীর বয়স নির্ধারণের জন্য রাঙামাটি সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছে। আমরা শুধু নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারি বলে তিনি জানান।
এদিকে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় নির্যাতিত দুই কিশোরীর শুনানীর দিন ৭ফেব্রুয়ারী ধার্য করেছে আদালত।
বুধবার সকালে তাদের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন খালেদের আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে আদালত এ তারিখ ঘোষণা করেন।
রাঙামাটি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, ওই দুই কিশোরী পরিক্ষার রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমীন সিদ্দিকী জানান, ওই দুই কিশোরীর বয়স নির্ধারণের জন্য আদালতে আবেদন করা হলেও এ ব্যাপারে আদালত কোন শুনানী না করে পরবর্তী ৭ফেব্রুয়ারী শুনানীর দিন ধার্য করে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ২২জানুয়ারী গভীর রাতে বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের ধরতে একটি অভিযান পরিচালনা করে নিরাপত্তা বাহিনী।
এরপর ওইদিন গভীর রাতে মারমা দুই কিশোরী ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযাগ তুলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।
এদিকে ঘটনার পরের দিন ২৩ জানুয়ারী কে বা কারা ওই মারমা কিশোরীকে দূর্গম বিলাইছড়ি থেকে এনে রাঙামাটি জেনারেল হাসপতালে ভর্তি করায়।
খবর বিভাগঃ
অন্যান্য সংবাদ
অপরাধ
চট্টগ্রাম বিভাগ
0 facebook: