14 February 2019

অবৈধ জমিতে সোনালী ব্যাংকের বন্ধকী ঋণ


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ সীমানা পিলার সরিয়ে নদীর পেটেই তৈরি হয়েছে বহুতল ভবন। এ কাজে আবার ঋণ দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। বুড়িগঙ্গা তীরে তৃতীয় সপ্তাহের অভিযানে মিলেছে এমন অবৈধ স্থাপনা। যা গুড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। এদিন পশ্চিম হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকায় উচ্ছেদ করা হয় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধু বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা নয় সব নদীই দখলমুক্ত করা হবে।

অবৈধ জমিতে সোনালী ব্যাংকের বন্ধকী ঋণে গড়ে উঠেছে চারতলা ভবনটি। ভবনের অবয়ব বলছে খুব বেশি দিন হয়নি তা গড়ে তোলা হয়েছে। ভবনটি দৃশ্যত নদীর সীমানা পিলারের বাইরে অর্থাৎ বৈধ জায়গায়। কিন্তু বাস্তবে নিজেদের স্বার্থে সীমানা খুঁটি সরিয়ে পচ্ছন্দ মতো জায়গায় পুঁতেছেন স্থানীয়রা।

সে হিসেবে বুড়িগঙ্গা তীরের পশ্চিম হাজারীবাগ ঝাউচরের এই জনপদে যতো স্থাপনা-উঁচু দালান তার বেশিরভাগ অবৈধ। এসব উচ্ছেদে বিআইডব্লিউটিএ'র সাথে এবার যোগ দিয়েছে রাজউকের কর্মকর্তারাও।

নদীর জায়গা নদীকে বুঝিয়ে দেয়ার এই আয়োজন দেখতে শতশত মানুষের ভিড় বুড়িগঙ্গা তীরে। অভিযান নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত তাদের। কামরাঙ্গীরচরের পর বুড়িগঙ্গার এই অংশে দখলকরা জায়গায় গড়া স্থাপনা বেশ বেশি। যার বিস্তৃতি বুড়িগঙ্গার পশ্চিম হাজারীবাগ থেকে মোহাম্মদপুর বোসিলা ব্রিজ পর্যন্ত। যে তালিকায় রয়েছে বসত-বাড়ি শিল্প কারখানাসহ অনেক কিছুই।

নদী রক্ষা নিয়ে সচিবালয়ে বলেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, সব নদীই অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে। এরআগে নদী দখল-দূষণ বন্ধে সরকারের করা মাস্টার প্ল্যানের খসড়া নিয়ে সচিবালয়ে বৈঠক করেন সংশ্লিষ্টরা।


শেয়ার করুন

0 facebook: