![]() |
এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও পবিত্র মসজিদের ভেতরের কোরআন শরিফ ব্যতীত সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তা জানা যায়নি।
পবিত্র মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মুহম্মদ সেলিম সাংবাদিকদের জানান, গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে মসজিদের ভেতরে আগুন দেখতে পান পাশের কক্ষে থাকা ইমাম সাহেব। আশপাশের সবাই বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। অগ্নিকাণ্ডে মসজিদের কার্পেট, ১৬টি বৈদ্যুতিক পাখা ও খাটিয়া পুড়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, গত ২০ জুলাই রাতেও পবিত্র মসজিদের ইমামের ঘরের পাশে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। ওই ঘটনায় সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।
স্থানীয় এক মুসল্লি বলেন, ‘ পবিত্র মসজিদে আগুন লাগানোর মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা কোথাও দেখা যায় না। মুরব্বিরা বলতেছেন, তাঁদের জীবদ্দশায় এমন ঘটনা দেখেন নাই। আমরা অগ্নিসংযোগকারীদের ঘৃণা করি। আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুক। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি।’ এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ফায়ার সার্ভিসও ঘটনাস্থলে এসেছে। এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত টিম একটি মতামত দেবে। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
ধর্মীয় বিদ্বেষ
0 facebook: