27 July 2019

ঢাকার দয়াগঞ্জ শিব মন্দিরে হিন্দুরা টুপি-পাঞ্জাবী পরে ইসলামবিরোধী নাটক মঞ্চায়ন করেছে! (ভিডিও)


দস্তার রাজদরবার॥ এতোদিন ভারতে থাকলেও মুসলমানদের নিরবতা আর অসাম্প্রদায়িকতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশেও গনহারে ইসলাম অবমাননা শুরু করেছে উগ্রবাদী হিন্দুরা। একের পর এক ইসলাম বিরোধি, ইসলাম বিদ্বেষী কাজ করে গেলেও মুসলিম সমাজ অজানা কোন এক কারনে যেনো নিরব হয়ে আছে।

নিচের ছবিটি হিন্দুদের কথিত লাভ জিহাদবিরোধী একটি নাটক, যেখানে হিন্দু অভিনেতারা টুপি-পাঞ্জাবী ও রুমাল পরেছে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য। নাটকটির নাম তারা দিয়েছে বিসর্জন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পাঞ্জাবী-রুমাল পরিয়ে একজনকে বিয়ে পড়ানোর কাজী সাজানো হয়েছে, পেছনের ব্যানারেই লেখা রয়েছে শিব মন্দির, দয়াগঞ্জ, ঢাকা। সম্প্রতি প্রিয়া সাহা ইস্যুতে যে গোবিন্দ প্রামাণিক একের পর এক উস্কানীমূলক বক্তব্য ও বাংলাদেশ কে ভারতেও অঙ্গরাজ্য বানানোর জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের সংগঠন হিন্দু মহাজোটের একটি মূল ঘাঁটিই হচ্ছে এই দয়াগঞ্জ শিব মন্দির।

নাটকে অভিনয় করেছে তেজগাঁও কলেজের হিন্দু ছাত্র মহাজোটএর সদস্যরা। তাদের একজন ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছে, যে কোনও ধর্মীয় (হিন্দুধর্মীয়) অনুষ্ঠানে এই লাভ জিহাদ বিরোধী নাটক বিসর্জনকরতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তথ্য ও যোগাযোগঃ +8801880-275332



উল্লেখ্য, অমুসলিম দেশগুলোতে বানোয়াট ইস্যুতে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবেই মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়েকদিন আগেই সংবাদে এসেছে যে, গরুর গোশত থাকতে পারে এই সন্দেহে ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি গোটা মাদ্রাসা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশ এমনই অথর্ব অসাম্প্রদায়িক মুসলমানদের দেশ, যেখানে চট্টগ্রামের ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে হরে কৃষ্ণ, হরে রামবলিয়ে প্রসাদ খাওয়ালেও প্রবর্তক ইসকন মন্দির বন্ধ হওয়া তো দূরে, একটি ইটও খসানো হয় না। খোদ রাজধানী ঢাকা শহরে, তাও আবার মন্দিরের ভেতরে তেজগাঁও কলেজের হিন্দু শিক্ষার্থীরা টুপি-পাঞ্জাবী পরে ইসলামবিরোধী নাটক মঞ্চস্থ করতে পারে। কারণ তারা জানে অথর্ব অছাম্প্রদায়িক বাঙালি মুসলমানরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তাদের মন্দিরের কিছু হওয়া তো দূরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তাদের বিরুদ্ধে এ কারণে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না।


বাংলাদেশের মুসলমানরা কি মনে করে, দেশটা এখনও তাদের রয়েছে? না দেশটা তাদের নেই, থাকলে তাদের দেশে তাদের বুকের ওপর চড়ে হিন্দুরা তাদের শিশুদের হরে কৃষ্ণ বলাতে পারত না। তাদের অছাম্প্রদায়িকতাই তাদেরকে তাদের দেশের মালিকানা হতে বিচ্যুত করেছে, তাদেরকে নিজভূমে পরাধীন করেছে।

তাদের ফেসবুকের সেই স্ট্যাটাসঃ আর্কাইভ যদি ডিলিট করে থাকে (http://archive.is/tPkng)



শেয়ার করুন

0 facebook: