27 July 2019

পিঠা বিক্রেতার ১৬ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ শেষে পুকুরে নিক্ষেপ!

ছবিঃ সংগৃহীত
জেলা প্রতিনিধি।। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক পিঠা বিক্রেতার কিশোরী কন্যাকে (১৬) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার চর কামালপুর ঠুলি মৌলভীর মাজার সংলগ্ন একটি পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষিতার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলার পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে গত ২৬ জুলাই (শুক্রবার) কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

জানা যায়, গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় কিশোরী কন্যাকে সাথে নিয়ে পিঠা বিক্রেতা মা পিঠা বিক্রয়ের জন্য কুলিয়ারচর উপজেলার চরকামালপুর ঠুলি মৌলভীর মাজারে যায়। পরে মাজারের দায়িত্বে থাকা ঠুুলি মৌলভীর ছেলে মোঃ মেরাজ মিয়ার অনুমতি নিয়ে মাজারের উত্তর দিকে একটি পিঠার দোকান বসান।

রাত ১ টার দিকে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মাজারের উত্তর দিকে একটি বাড়িতে যাওয়ার সময় মেরাজ মিয়া রাস্তা থেকে ঐ কিশোরীকে মুখ চেপে টেনে হেঁচড়ে মাজারের পূর্বপার্শ্বে নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে মেরাজ মিয়া আরো ৫ জন অজ্ঞাতনামা যুবককে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে ওই কিশোরীকে তাদের হাতে তুলে দেয়। তারাও কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে খুন করার উদ্দেশ্যে ঐ কিশোরীকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।

এদিকে পিঠা বিক্রেতা লোকজন নিয়ে বহু খোঁজাখুঁজি করে রাত ৩ টার দিকে তার কিশোরী মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা গত ২৬ জুলাই কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে।

অভিযোগ পেয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) কুলিয়ারচর থানার এস আই আবুল কালাম আজাদ ও এস আই মোঃ আজহারুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মুহম্মদ মেরাজ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই মেয়ে ও মেয়ের মাকে আমি চিনিই না। তারা মাজারে পিঠা বিক্রির জন্য আসেনি। মাজার এলাকায় ওই দিন এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে এসআই আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে শনিবার ঘটনারস্থল পরিদর্শণ করেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে।


শেয়ার করুন

0 facebook: