![]() |
স্টাফ রিপোর্টার।। ইবনে সিনা হাসপাতালের ধানমন্ডি শাখা ইবনে সিনা হাসপাতালের চার কর্মককর্তার বিরুদ্ধে ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসেনের আদালতে ঢাকা বারের আইনজীবী রমজান আলী সরকার মামলাটি করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কনসালট্যান্ট (হেমাটোলজিস্ট) অধ্যাপক কর্নেল (অব.) মনিরুজ্জামান। তিনজনের নাম জানা যায়নি।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন তানভীর আহমেদ সজীব। বাদী মামলাটি আমলে দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, ২৫ জুলাই বাদী জ্বর নিয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালের ধানমন্ডি শাখায় যান। আউটডোরে পরামর্শ করলে তারা এনএস-ওয়ান, এজি এবং সিবিসি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। এরপরে তিনি পরীক্ষা করেন। ২৬ জুলাই রিপোর্টে দেখেন রক্তে প্ল্যাটিলেট লেভেল ৭ লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। রিপোর্ট দেখে বাদী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই দিনই তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে একই পরীক্ষা করান। সেখানে রক্তের প্ল্যাটিলেট লেভেল আসে ২ লাখ সিএমএম।
একজন সুস্থ মানুষের রক্তের প্ল্যাটিলেট লেভেল দেড় লাখ থেকে সাড়ে ৪ চার লাখ থাকে। কিন্তু ইবনে সিনার ডায়াগনস্টিক সেন্টার রক্তের প্ল্যাটিলেট লেভেল আসে ৭ লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। যা কোনও সুস্থ বা অসুস্থ মানুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে না। দেশে ডেঙ্গু জ্বরের পরিস্থিতি নাজুক। এ সময় সাধারণ জনগণের অসুস্থতাকে পুঁজি করে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিবাদীরা প্রতারণামূলকভাবে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে অপরাধ করেছে।
আইনজীবী রমজান আলী সরকার বলেন, ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার ও প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ভুল রিপোর্ট প্রদান করে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৬৯/২৭০/৪০৬ ধারায় অপরাধ করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করছি।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
ঢাকা বিভাগ
স্বাস্থ্য
0 facebook: