![]() |
ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের একাংশ |
মুহম্মদ রাজীব খাজা।। উগ্রবাদী ইসকনী হিন্দুদের আগ্রাসন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবার ভোলায় মুসলিম মুক্তিযোদ্ধা আর্মি পরিবারের জায়গায় ইসকনী মন্দির প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে, জোর পূর্বক অসহায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নেয়ার অপচেস্টা চালাচ্ছে তারা।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে ভোলার সার্কুলার রোডে মুসলিমদের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে! জমি দখলের মূল ভূমিকা পালন করছে, ভোলা শহরের সাবেক সিনিয়র টিভি মেকার ও বর্তমান আওয়ামিলীগ এর শহর অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা গৌরাঙ্গ!
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেগে উঠেছেন মুসলিম সমাজ। তাদের একটাই দাবী ইসকনের সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল।
ভিডিওতে সঞ্চালক বলেনঃ- এখনো শান্ত রয়েছি। আমরা এখনো চাইবো না মুসলমানরা ঘরে বসে থাকবেনা থাকবেনা থাকবেনা। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি চাই। সুতরাং যারা সন্ত্রাস রয়েছে যারা জঙ্গী রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা জঙ্গীবাদ বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চাই। আপনারা সন্ত্রাসে অবস্থান নিবেন নয়তোবা জঙ্গীবাদে অবস্থান নিবেন। সম্মানিত উপস্থিতি এই পর্যায়ে আপনাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন জননেতা মাওলানা গোলাম মোরশেদ।
গোলাম মোরশেদঃ- আমরা ইসকন সম্পর্কে অনেকেই জানি। ইসকন একটি উগ্রবাদী হিন্দু সংঘটন। চট্টগ্রামে তারা দশ হাজার শিক্ষার্থীদের বিরিয়ানি খাইয়েছে৷ বিরিয়ানি খাওয়ানোর আগে তাদের সামনে দিয়ে তাদের শিক্ষা দিয়েছে তোমরা বল হরে হরে রাম। এইভাবে মুসলিম বচ্চাদের কে হরে হরে রামের নামে খাদ্য ভক্ষণ করতে বাধ্য করিয়েছে। এখানে ইসকন একটি নাম নয়। একটি চক্রান্ত ইসকমের পূর্ণরূপ হল বিশ্ব মুসলিম নিধন। সুতরাং আমাদের সাবধান হতে হবে ইসকনকে আমরা আসলে যতটা ছোট দেখতেছি আসলে এটা ছোট নয়। বাংলাদেশে ইসকন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছত্র ছায়ায় চলতেছে কিন্তু আমরা ইসকনের চলা ফেরায় বুঝতেছি যে সরকারের পতক্ষ মদদ ইসকনের উপর রয়েছে। সম্মানিত ভাই বন্ধুগণ ইসকনের কার্যক্রম বন্ধের উদাত্ত আহবান জানিয়ে আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করলাম। ওমা তাওফিকি ইল্লা বিল্লা।
সঞ্চালক আবারো বলেনঃ- এখানে পুলিশ প্রশাসনের লোক আছেন। আমাদের পক্ষ থেকে কয়েকটি মেসেজ দিতে চাই। সেটা হল ভোলার আজকে যে সারকোলার রোডে এটা হলো আবাসিক এলাকা সেখানে মাত্র চারটি ঘর হিন্দুদের। সেখানে প্রত্যেকটি মন্দির ভোলার এত বড় বড় আর্কা তাদের বিভিন্ন পূজার মন্ডব থাকা সত্তেও তদের এখানে ইসকনের পোগ্রাম করতে হবে তার মানে কি? আমি আমাদের সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী বর্তমান এমপি। যাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। আপনি এক তরফা ভাবে তাদের কথা শুনেছেন এখন ভোলার তাওহীদি জনতার দিকে তাকিয়ে দেখেন তদের রক্তথাকা কালীন। ভোলাতে ইসকনের অবস্থান দিবেনা ইনশাআল্লাহ। আমরা বলতে চাই আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিশ্বাসি। সারা পৃথিবীতে যতটুকু রয়েছে বাংলাদেশে তার থেকে বেশি রয়েছে। তার থেকে সবচেয়ে বেশি হলো ভোলাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি। আজকে দেখা যায় বিভিন্ন পূজার সময়, পূজার সময় মুসলমানরা জাকজমক ভাবে সেখানে অংগ্রহণ করে, নিতাপত্তা দিয়ে থাকেন, কিন্তু আমরা পূজার বিরুধী নয় অনেকে ভুল বুঝে থাকেন। আমরা পূজা হোক কালি পূজা হোক আরো পূজা যত আছে। তারা গরুকে মা বলে মা পূজা করুক। গরুর মুতের পূজা করুক এতে আমাদের কোন দুঃখ নাই কিন্তু উগ্রবাদী ইসকনের নামে ভোলাতে কোন প্রোগ্রাম দেয়া হবে না ইনশাআল্লাহ করতে দেওয়া হবেনা। অতএব আজকে আমরা প্রিয়া সাহার ট্রাম্পের কাছে বিচার যে উগ্রপন্থী ইসকন চট্টগ্রামে তাদের প্রসাদ খাওয়ালো। ক্ষমতায় থাকার সপ্ন দেখতে পারেন কিন্তু এই দেশের মানুষ বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে রক্ত দিবে জীবন দিবে। অতএব ভোলা বাসি আমরা কোন উগ্রপন্থীনা আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী অতএব আমাদের প্রশাসক মোহদয় এবং এমপির কাছে অনোরুধ যেন ইসকেন প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয়। যদি না করা হয় তাহলে মানব বন্ধন সহকারে প্রয়োজনে হরতাল করা হবে অবরোধ করে দেওয়া হবে। তবুও ইসকনকে প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হবেনা।
ভোলার বিশিষ্ট আলেম এবং জননেতা মাওলানা আতাউর রহমান বক্তব্য রাখবেন।
আতাউর রহমানঃ- সরকার বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে হিন্দুদেরকে চাকরি দিয়ে আজকে তারা আমাদের মাথার লোম ছিড়ে। কি বলেন ঠিক কিনা? আজকে সরকার প্রায় ৫০% সরকারি পোষ্টে হিন্দুদের চাকরী দিয়ে রেখেছে। হিন্দুরা ডিসি, এসপি তে চাকরি করতেছে কি বলেন ঠিক কিনা? দাদারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আজকে আমি বলতে চাই ১৮৬৬ সালে এই ইসকন সংঘটন আমেরিকা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল৷ ইহুদী এবং উগ্রবাদী হিন্দু সাম্প্রদায় যৌথভাবে মুসলমানকে নিধন করার জন্য আমেরিকায় গঠন হয়েছে। কিন্তু সেই আমেরিকায় তাদেরকে পাত্তা দেয় নাই। ভারত সরকার তাদেরকে ইসকনের কাজ কর্ম করার অনুমতি দেয় নাই। আজকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাবো। আমাদের বিরম্বে ইসকনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিন। এক জবান এক দাবি। না হলে আপনার পতনের আন্দোলনের সুচনা করা হবে।
সঞ্চালকঃ- এই মুহুর্তে আপনাদের সামনে বক্তব্য নিয়ে আসবেন ভোলার বিশিষ্ট আলেমে দিন রাজপথের লড়াকো সৈনিক (নাম বলা হয়নি স্কিপ হয়েছে ভিডিও তে।)
তিনি বলেনঃ- এদেশে যে বিধর্মী রয়েছেন। ভারতীয় হাইকমিশনার কূটনীতিক বা যাই বলেন যে তাদের দূতাবাস সেখান থেকে কোন প্রতিবাদ আসেনা। একজন সংখ্যালঘু যদি মৃত্যু বরণ করে তাহলে সারা বিশ্ব থেকে প্রতিবাদ আসে ঠিক না বেঠিক? মুসলমান আর এই অবস্থায় বসবাস করতে চায় না। ঠিক না বেঠিক? আপনারা জানে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে সুস্পষ্ট কথা বলে দিয়েছে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু গায়েব হয়া গেছে। এটাকি আপনারা জানেন? বরংচ হিন্দুরা সবথেকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেছে। আপনারা পরিবেশন করেন আমার তো বিশ্বাস হয়না এটা বাংলাদেশ। আপনারা ২০১১ সালে ছিলেন এখনো থাকেন। সারা বাংলাদেশের রাজনীতি এবং ভোলার রাজনীতি কিন্তু এক নয়। মাননীয় এমপি মহোদয় আপনি তো ভোলাতে থাকেন না বছরে দুই একবার আসেন ঈদ উৎসবে আসেন। ভোলার সাথে আমনার সম্পৃক্ততা নাই সু স্পষ্ট কথা। এখানে জেলা প্রশাসক মোহদয় রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের যারা লিডার রয়েছেন তারাও বুঝেন, আপনি কিন্তু বুঝেন না ভোলার রাজনীতি এখনো। আপনি কিন্তু বুঝেননা ভোলার রাজনীতি। আপনি কিভাবে পরবর্তীতে আসেন। আপনি স্বয়ং উইড্রো করেন ইসকনের কোন প্রকার প্রোগ্রাম করতে দেব না দেবনা দেবনা। জঙ্গী সংঘটন জঙ্গী সংঘটন। আপনারা জানেন আমরা মুসমানে নাই, আজকে পূজা কমিটি তাদের সাথে নাই। কোন মন্দিরে তাদেরকে স্থান দেওয়া হয়া। গতবছর অমিও কলেজের মাঠে প্রোগ্রাম করতে ছেয়েছে। বিভিন্ন জায়গাতে প্রোগ্রাম করতে চেয়েছে কেউ তাদেরকে স্থায় দেয় নাই। সারকোলার রোডে করতে হবে একটা বিতর্কিত জায়গাতে। আপনি কি করতে চাচ্ছেন? ইসকনের সকল কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে ঠিক না বেঠিক? বাংলাদেশ হচ্ছে শান্তির রাষ্ট্র এটা জান্নাতের এমটা রাষ্ট্র বললে চলে ঠিক না বেঠিক? সকল শ্রেণীর মানুষ শান্তিতে বসবাস করতেছে। মুসলমানের রক্ত যদি গরম হয়ে যায় তোমাদের কিন্তু অস্তিত্ব থাকবেনা। ঠিকনা বেঠিক? মাননীয় জেলা প্রশাসক, এসপি মহোদয় আপনাদেরকে বলছি। আপনারা জানেনে, ভোলাকে শান্ত রাখেন। শান্ত ভোলাকে অশান্ত করবেন না। শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে দায়ি করবেন না। আপনাদের কাছে কয়েক বার গিয়েছি কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। আমরা ইনশাআল্লাহ প্রোগ্রামে সেখানে মাহফিল করব। ঠিকনা বেঠিক? অতএব আসুন আগামীকালকে কোন প্রোগ্রাম হয় কোন কর্মসূচি থাকে আপনারা উপস্থিত হতে রাজি আছেন কিনা? আমরা মিছিল করব, তবে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে জোসে হুশ রাখতে হবে। ঠিক না বেঠিক? আন্দোলন কিন্তু একদিন নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে। অতএব নেত্রীবিন্দ যেটা বলবে আন্দোলন শুরু হয়েছে বলবে, যেটা কমানড যেটা আপনাদেরকে নির্দেশ করবে, বসতে বললে বসে যাবেন। ঠিক না বেঠিক? চলতে বললে চলবে ঠিক না বেঠিক?, জীবন দিতে হলে জীবন দিতে হবে। অতএব যেটাই বলব সেটাই পালন করতে হবে নেত্রী বিন্দের আদেশের বাহীরে কোন কিছু করবেন না ঠিক না বেঠিক?
তারপর উগ্রবাদী হিন্দুদের এবং ইসকনের বিরুদ্ধে আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মিছিল করে জনতা।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
হিন্দু সমাচার
0 facebook: