![]() |
ছবি: ভুক্তভোগী মুহম্মদ সেলিম আহমেদ (ইনসেটে এমপি তোফায়েল) |
চিফ রিপোর্টার।। বীর উত্তম শহীদ সাইলম পরিবারের বংশধর, প্রাক্তন আর্মি অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস মিয়ার ছেলে, শহীদ পরিবারে সন্তান মুহম্মদ সেলিম আহমেদ উগ্র হিন্দুত্ববাদি ইসকনের বিরুদ্ধে তাঁর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জায়গা দখলের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন আমার বাবা চাকরি জীবনে রিটায়ার্ড করার পর ১৯৮৫ সালে উক্ত বাড়ি কিনেন এবং কিছু উশৃঙ্খল বহিরাগত লোক আমাদের নামে মামলা দেয় এই সম্পত্তি।
মামলাটা কারা দেয় জানতে চাইলে মুহম্মদ সেলিম আহমেদ বলেন, এরা বহিরাগত। অথচ রেকোর্ডিও সম্পত্তি আমরা কিনি। মামলা দেওয়ার পর আমরা প্রতিটি মামলায় জিতি। কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা আমাদের বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতেই থাকে। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি ঢাকা নিবাসী। এখানে আমার বৃদ্ধ বাবা মা থাকেন আমার দুই ভাই আছেন, তারাও ঢাকা নিবাসী, সেখানে তারা ব্যবসা করেন। আজকে ইসকন নামের হিন্দত্ববাদী সংঘটন যেটা বাংলাদেশে বিতর্কিত একটা উগ্র সন্ত্রাসী গ্রুপ নামে পরিচিত, যারা ধর্মের নামে উশৃঙ্খলতা করে তারা আমার জায়গা দখলের অপচেষ্টা করছে। আমার এখানে তারা অনুষ্ঠান করার জন্য কারো কোন পারমিশন নেয় নাই। ডিসি এসপি কারো কোন পারমিশন নেয় নাই। না নিয়ে তারা প্যান্ডেল করে। আমি খবর পেয়ে ঢাকা থেকে রওয়ানা দেই। আমি এখানে এসে দেখি তারা আমার যায়গায় তাদের উগ্রবাদ প্রচারের প্যান্ডেল করে বসে আছে।
এগুলো কারা করে? কি নাম? জানতে চাইলে তিনি বলেন- ওরা সবাই হিন্দু। এইখানে গৌরাঙ্গ নামে একটা লোক আছে। সে তাদেরকে এখানে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য আনে। আমি ঢাকা থেকে এসে দেখি হাজার হাজার মুসলমান এখানে এসে বাধা দিয়েছেন যে এখানে ইসকনের নাম কোন উগ্রবাদী প্রচার প্রাসারের নামে কোন কিছু করা যাবে না। এই সমস্থ বাধা দেওয়ার কারণে প্রশাসনের লোকজন আসে।
বাধা টা কে দিয়েছে? আপনি? জানতে চাইলে মুহম্মদ সেলিম বলেন – নাহ আমি দেইনি। আমি আসার আগেই হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলিম এলাকাবাসিই দিয়েছেন।
এটাকি গৌরাঙ্গ সাহেবের জায়গা? জিজ্ঞাসা করা হলে সেলিম সাহেব বলেন না সেও বহিরা গত। এটা আমার জায়গা। আমার জায়গা আমিই খাজনা দেই। রেকর্ড আমার বাবার নামে আমরা এখানে আছি। আমি এসে হাজার হাজার লোক দেখে। আমি ডিসি এসপি কে জানাইলাম। ডিসি এসপি সাহেবের সাথেও সাক্ষাত করেছি।
তবে এসপি সাহেব স্টেশনে না থাকায় তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে পারিনি। ওসি সাহেবের সাথে সাক্ষাত করেছি, তারা কোন পারমিশন দেন নাই। এবং তারা স্থানীয় মুসলমানদের সাথেই রয়েছেন। স্থানীয় লোকজন শান্তিপূর্ণ ভাবে বলেছেন এখানে কোন অনুষ্ঠান হবেনা। পরোক্ষণে জানা গেলো আমাদের ভোলা ১ আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদ মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষেই নাকি এই উগ্রবাদী ইসকন এখানে একটা বিরোধীয় সম্পত্তিতে, অনুষ্ঠান করার নামে উশৃঙ্খলতা করায় পায়তারা চালাচ্ছে।
তবে আমরা প্রশাসনকে বিশ্বাস করি এবং প্রশাসনের প্রতি আমাদের আস্তা আছে। আমরা শান্তিপ্রিয় ভাবে এখানে যাতে বসবাস করতে পারি। শান্তি প্রিয় ভাবে যেন আমি আমার অনুষ্ঠান করতে পারি। আমার পরিবার এখানে থাকতে পারে। আমি দেশবাসির কাছে কামনা করব এবং এখানে আমার বৃদ্ধ বাবা মা-ই সংখ্যার দিক দিয়ে নগন্য। আমিই বরং সংখ্যালঘু। বিভিন্ন ভাবে হিন্দু সম্প্রদায় এসে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেন এবং বিভিন্ন ভাবে তারা নির্যাতন করেন এবং করে বলেই আমরা নিজেকে মুসলিম হয়েও সংখ্যালঘু মনে করছি। এমনকি এই হিন্দুরা আমাদের বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করছে নির্যাতন করছে। তারা উদ্দেশ্য প্রণদিতভাবে আমার জমির দিকে হাত বাড়াচ্ছে। তাই শান্তির জন্য আমি দেশবাসির কাছে প্রশাসনের কাছে এখানে শান্তি বিরাজের জন্য সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
মুহম্মদ সেলিমের কাছে ওখানে কতটুকু জমি ও কোন কোন দাগের জমি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে তিন দাগের ১০৭ শতাংশ জমিন আছে। ১০৭ শতাংশ জমিন আমার বাবা ক্রয় করেছেন ১৯৮৫ সালে। দাগ নাম্বার গুলো হলো ১০৫, ১০৭, ১০৪ এবং তা রেকর্ডিয় জমিন।
মুহম্মদ সেলিম আরো বলেন, এখানে আমার যায়গার পাশে মন্দিরের আড়াই শতাংশ জমিন আছে। সেখানে আমরা কখনই পূজা করতে দেখিনি তাদের। এবং এটা পরিত্যাক্ত ছিল, একসময় কালী পূজা হতো বলে আমরা শুনেছি। আস্তে আস্তে তারা পূজার নামে প্রতিবার প্যান্ডেল করে কিন্তু পরে আর প্যান্ডেল ভাঙ্গে না। না ভেঙ্গে ঐটাকেই দখল করে। বর্তমানে যে প্যান্ডেল করেছে এটাও দখলের একটা অংশ বিশেষ বলে আমি মনে করি।
সেলিম সাহেবের নিকট জানতে চাইলে - আচ্ছা আপনাদের জমিনে ওরা পূজার নামে প্যান্ডেল করে? আপনাদের জমিনেই তো করে?
মুহম্মদ সেলিম বলে- জি হ্যাঁ আমাদের জমিতেই করে। জিজ্ঞাসা করা হলে- এখন সুযোগ দেওয়াতে পুরা জমি দখল করেছে? সেলিম সাহেব বলেন- সুযোগ না। তারা জোর করেই করে। আমরা বাধা দিলেই সংখ্যালঘুর নাম দিয়া তারা বিভিন্নভাবে প্রশাসনকে বলে এবং তারা হিন্দু সম্প্রদায় বলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধ নেয়। বরং তারা ধর্মের নামে উশৃঙ্খলতা করে এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। আইন ও মানে না।
জানতে চাওয়া হলোঃ কেন আইন মানেনা?
সেলিম বলেন, তারা আইনের লোকজন আসলে তারা উশৃঙ্খল মহিলাদেরকে সামনে দিয়ে তারা বিভিন্নভাবে কুটুক্তিমূলক কথা বলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখায়।
উপস্থিত এলাকার একজন ব্যাক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জন্মের পরথেকে জানি। এই জমিটা আলহাজ ইউনুস কাকার। উনি একজন রিটায়ার্ড সেনাবাহীনি কর্মকর্তা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। এই জমিটা আমরা সবসময় দেখছি তাদের হাতেই ছিলো। এবং এটা নিয়ে একটা মামলাও হয়েছিল। মামলাতে হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট উনাদের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। সেখান থেকে এসে এই জমি তাদেরকে বুঝিয়েও দেওয়া হয়ছে। আজকে এই কিছুদিন হইলো ইসকন নামের একটা সংঘটন এই জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। আমি কিছু দিন আগে শুনেছি এই সংঘটন-টা একটা উগ্রবাদি হিন্দু সংঘটন। এটা কোথাও প্রশ্রয় পায় না। ভোলা শহরের কোথায় প্রশ্রয় না পাওয়ায় এখানে এসে তারা প্যান্ডেল করে জোড় জবরদস্তির মাধ্যমে একটা উগ্রবাদী অনুষ্ঠান করতে চাচ্ছে। যেটা সামাজিকভাবে কেউই মেনে নিচ্ছে না কেউই এলাউ করছেনা। এলাকার যারা আছে তারা কেউই মেনে নিচ্ছে না এবং এটার জন্য প্রশাসনিকভাবেও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
আমাদের এমপি মহোদয় জানিনা উনি কি কতটুকু শুনেছেন হয়তো উনি অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু মুলত জমিটা সেলিম ভাইয়ের বাবা মানে উনি জীবিত আছেন উনারি জমি। এখন ইসকনের নামে যারা এইসব করতেছে এটা সম্পূর্ণই জোর জবরদস্তি এবং জোর জবরদস্তি করেই করতেছে। তাদের এই উগ্রবাদী কাজে প্রশাসনও বাধা দিয়েছে এবং এলাকার জনগণও বাধা দিতেছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রাখব যে আসলেই যে এই ভোলা জেলার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে উনারা অগ্রনি ভুমিকাই পালন করবেন। আমরা প্রশাসনের কাছে সেটাই আশা করি। আর জমিটা আমাদের আলহাজ ইউনুস কাকার উনার। উনাদের খতিয়ান বলেন। সি এস বলেন। আর এস বলেন। উনারা রেকোর্ড সূত্রে ক্রয় করেছেন ১৯৮৫ সালে এখন পর্যন্ত উনাদের দখলে আছে। হিন্দুরা আজকে কয়েকজন উগ্রবাদী ইসকনি হিন্দু নিয়ে এই এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি প্রশাসন সুদৃষ্টি দিয়ে দেখবেন এবং সুবিচার করবেন। সেটাই আশা করি।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
হিন্দু সমাচার
আপনাদের লেখাগুলি সাম্প্রদায়িক বলে মনে হয়।
ReplyDelete