বোনো
এমনকি এই গানটি বাজানোর সময় তাঁর সমর্থকদের আং সান সুচির মুখোশ পরতে আহ্বান জানাতেন।
কিন্তু
বোনো এখন বলছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং সেখানে রক্তপাতের ছবি দেখে তার বিবষিমা
হচ্ছে। রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনকে
দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
"আমি সত্যিই অসুস্থ বোধ করছি। কারণ সব প্রমাণ যেদিকে
অঙ্গুলি নির্দেশ করছে তা দেখে আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছি না। কিন্তু সেখানেই আসলেই
জাতিগত নির্মূল অভিযান চলছে।" "এটা সত্যি সত্যি ঘটছে এবং তাঁকে (আং সান সুচি) পদত্যাগ করতে
হবে কারণ তিনি জানেন এটা ঘটছে।" "তার তো অন্তত এটা নিয়ে আরও বেশি কথা বলা উচিত। আর যদি তার কথা কেউ
না শোনো, তার পদত্যাগ করা উচিত।"
জাতিসংঘ
সহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠন ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যা
ঘটছে তাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে বর্ণনা করেছে। নব্বই এর দশকে আং সান সুচি যখন মিয়ানমারে গণতন্ত্রের আন্দোলনে নেতৃত্ব
দিচ্ছিলেন, তখন বিশ্বজুড়ে অনেক তারকা তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, তার পক্ষে বিশ্বজনমত গঠন করেছিলেন।
২০১৫
সালে আং সান সুচি যখন মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসলেন তখন তার সমর্থকরা ছিলেন উল্লসিত। কিন্তু মিয়ানমারে
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিপীড়ন শুরু হওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি তাদের মোহভঙ্গ ঘটে। তাদের অনেকেই সুচির
ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হন।
এ মাসেরই
শুরুতে আরেক আইরিশ পপ তারকা বব গেলডফ একই রকমভাবে আং সান সুচির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেছিলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির ভূমিকার প্রতিবাদে তিনি "ফ্রিডম
অব দ্য সিটি অব ডাবলিন'
পুরস্কার ফিরিয়ে দেবেন। কারণ সুচিকেও এই একই
পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এরপর অবশ্য সিটি অব
ডাবলিন আং সান সুচিকে দেয়া এই পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেয়।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: