স্বদেশ বার্তা ডেস্কঃ নভেম্বরের
মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি শুরু পর্যন্ত সময়টাকে ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশে শীতকাল ধরা
হয়। তবে বাংলা মাসের হিসেবে পৌষ ও মাঘ মাসই শীতকাল। শীত এর আগে-পরে থাকলেও এই দুই মাসেই
তীব্রতা বেশি। তবে হাড়কাঁপানো শীত নামে মাঘমাস জুড়ে। এজন্য বলা হয়: মাঘের শীতে বাঘ
পালায়। পৌষ আর মাঘ এই দুই মাসে তাই শীতের পোশাক কেনাবেচার ধুম লাগে।
এবারও
ব্যতিক্রম নয়। তীব্র শীত এখনো অনুভূত না হলেও শীত যে পড়তে শুরু করেছে তার চাক্ষুষ প্রমাণ
মিললো রাজধানীর বঙ্গবাজারের শীত পোশাকের দোকানগুলোতে গিয়ে। ক্রেতাদের আনাগোনাও বেশ
শুরু হয়ে গেছে। আসছেন দূর দূরান্ত থেকে পাইকাররাও। সারাদেশ থেকে শীতের জ্যাকেট, সোয়েটার, জাম্পার, মাফলার, কম্বলসহ
নানা রকমের শীত-পোশাক কিনতে পাইকাররা আসেন বঙ্গবাজারে।
ওদিকে
নিউমার্কেট, পলওয়েল
মার্কেট, ঢাকা
কলেজের উল্টোদিকের ফুটপাত,
পল্টন,
গুলিস্তান,
মতিঝিল শাপলা চত্বর, বায়তুল মোকাররমের আশেপাশের সব ফুটপাতই এখন
শীত পোশাকের দখলে।
বঙ্গবাজারের
এনেক্স ভবনের নীচ তলায় সারি সারি কম্বলের দোকান। সেখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানা রকমের
বাহারি কম্বল। দেশি বিদেশি, বেশিদামি–কমদামি।
রাশেদ
বেডিং স্টোরে দেশি-বিদেশি নানা রকমের কম্বল সাজানো। দোকানে বসে আছেন মালিকের ভাই জয়।
জিগ্যেস করলাম কেমন বেচাকেনা। জবাবে বললেন, এখনো শীতের প্রকোপ বেশি নয়। তবে আমাদের বেচাকেনা
ভাল। এ বছর রোহিঙ্গাদের জন্য প্রচুর কম্বল বিক্রি হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান রোহিঙ্গাদের
দান করার জন্য লট-এ কম্বল নিয়ে যাচ্ছেন। একারণে কম্বলের বাজার ভাল। সব দোকানেই বেচাকেনা
মোটামুটি ভাল।
কম্বলের
দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন,
এখানে দেশি কম্বল ১০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। আর
চীনা-কোরিয়ান কম্বল বিক্রি হয় ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত।
বঙ্গবাজারের
ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল শত শত দোকানে থরে থরে সাজানো শীতের হরেক রকরেম পোশাক। ক্রেতার
সংখ্যাও কম না। তবে বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বললেন, ভরা মৌসুম
এলে বাজারের ভেতরে হাঁটাই কষ্টকর হবে। ক্রেতারা কেবল আসতে শুরু করেছে। শীত বাড়লে আসবে
আরো বেশি সংখ্যায়।
জ্যাকেট-সোয়েটারের
পাইকারি দোকান রুমি-সুমি গার্মেন্ট’র
মালিক মোজাম্মেল হকের ভাই আলমগীর। তিনি বললেন, আমার সারা দোকান এর অর্ধেকেরও বেশি দোকানে
এখন শোভা পাচ্ছে শীতের পোশাক। ছেলে মেয়েদের জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, ব্লেজার, লেদার
জ্যাকেট, হাফ
সোয়েটার দিয়ে সাজানো রয়েছে দোকানগুলো। এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন
আইটেমের সোয়েটার ও জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে। এই মার্কেটের ক্রেতা মূলত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত
মানুষ।
নিউমার্কেট
ও ঢাকা কলেজ এলাকার ফুটপাতগুলোতেও শীতের পোশাকের আধিক্য দেখা গেল। সব দোকানেই এখন অন্যসব
পোশাকের সঙ্গে রয়েছে শীতের পোশাক। এছাড়া গুলিস্তান, পল্টন, বায়তুল মোকাররমের আশে পাশের ফুটপাথগুলোতে
বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। ঢাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সঙ্গে এসব দোকান থেকে শীতের পোশাক
কিনতে এসেছেন ঢাকার বাইরের ক্রেতারাও।
খবর বিভাগঃ
ব্যবসা ও বাণিজ্য
0 facebook: