ডিসেম্বর
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরসার নতুন বিবৃতি প্রকাশের পর রোহিঙ্গাদের মধ্যে তোলপাড়
সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবারও বিতর্কের মুখে পড়েছে মিয়ানমার।
বিবৃতি থেকে জানা যায় , ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সেখানে তারা
অনুপস্থিত ছিল এবং যেই অভিযোগটি করা হয়েছে সেটা মিথ্যা এবং বানোয়াট।
তাদের এই বিবৃতি
থেকে একটা প্রশ্ন অনেকের মনে জানান দিচ্ছে যে, তাহলে আগস্টের হামলার পরে মিয়ানমার
মিলিটারি কীভাবে নিশ্চিত না হয়ে এতোগুলো নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালালো যেটা
মানবতাবিরোধী এবং আইন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।
নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা বিশেষজ্ঞ বলেন, আরসা কেন এতদিন পরে এই বিবৃতি দিল কেন তারা
আগে থাকে জানান দেয়নি তাদের উপস্থিতি তাহলে হয়তো কিছু অসহায় রোহিঙ্গা বেঁচে যেত।
তুলাতলি থেকে আসা
রোহিঙ্গা যুবক করিম বলেন, আমরা আগে থেকে জানতাম সেখানে কেউ নাই। যখন বাসায় বাসায়
মিলিটারি আসছে প্রথমদিকে তাদেরকেও এই কথা বলা হয়েছে, অনেকের কাছ থেকে শুনেছি আরসার
লোকজন মিয়ানমার মিলিটারির পাশ দিয়ে হেঁটে যায় তারা কিছু বলে না।
মধ্য বয়স্ক রোহিঙ্গা করিম, বর্তমানে তিনি উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ ব্লকে আছেন।
তিনি বলেন ‘ আমরা আরসা নামে কেউ চিনি নাম ও শুনিনি কিন্তু হাফেজ আতাউল্লাহ কথা
শুনেছি তার নাকি ৬ ভাই আছে, এক ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আলকিন
থেকে আরসা,আগের সংগঠন আরএসও, বলা হয়ে থাকে এরা রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের জন্য
মায়ানমার মিলিটারির সাথে বিরুদ্ধে লড়াই করছে আর মিলিটারি তার প্রতিশোধে হাজার
হাজার রোহিঙ্গাদেরকে তাঁর ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এবং রোহিঙ্গা জাতি নিধনের
সর্বশেষ প্রক্রিয়াও শেষ করেন যার ফলাফল বাংলাদেশের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে
আশ্রয় নিয়েছে নানা সময়ে এবং ২০১৭ সালে সব চেয়ে বেশি।
আরসাকে নিধন করার
নামে যে অভিযান মিয়ানমার মিলিটারি পরিচালনা করেন প্রধানত বিশ্বে প্রমান হয়েছে এটার
আসল উদ্দেশ্য।
আগস্টের শুরুর দিকে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হাফেজ আতাউল্লাহ নামে এক যুবকের সাথে পরিচিত হয় বিশ্ববাসী
যেকিনা আরসার নেতা হিসেবে পরিচিত হন।
যে সব রোহিঙ্গা যুবক
সেই হামলার সাথে জড়িত ছিল তাদের অনেকের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তাদের অনেকে এই
নেতাকে দেখেনি, আবু ওমর জুনুনি নামে এক ব্যক্তির জীবন পরিচিত উইকিপিডিয়ায় আছে
যেখানে তার শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে সব দেওয়া আছে।
যে চারটি গ্রামে
মিয়ানমার মিলিটারি গণহত্যা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেই গ্রামে এতদিন ধরে
মিয়ানমার আর্মির অভিযোগ ছিল এখানে আরসারা ঘাঁটি করেছে এবং সেই কারণে তারা
রোহিঙ্গাদের বাড়িতে বাড়িতে আরসা খুঁজে আগুন দেয় এ।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: