স্টাফ
রিপোর্টারঃ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ। শনিবার (৬ জানুয়ারি)
জাতীয় প্রেস ক্লাবে দশম সংসদের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনএফের ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।
সভায়
আবুল কালাম আজাদ এমপি বলেন,
‘আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী
দেয়া হবে। আর কাউকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস করতে দেয়া হবে না। আশা করি, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য নিয়ে আমরা
সংসদে প্রবেশ করবো।’
সংবিধানের
ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা
সংসদের হাতে নেওয়া দেখে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ক্ষেপে গেলেন
এবং তা বাতিল ঘোষণা করে কিছু পর্যবেক্ষণ দিলেন। সেখানকার কিছু কিছু
পর্যবেক্ষণ আমরা (সংসদ সদস্যরা) গ্রহণ করলাম না এবং সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন
দায়ের করলাম। এই রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির চলে যাওয়াটাও সুখকর হলো
না। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে যেতে পারতেন। কিন্তু এমনটা হয়নি।’
তিনি
আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলছে। কিন্তু আমি ধর্ম নিরপেক্ষ
নই বরং আমি ধর্মের পক্ষের লোক। আমি মুসলমান,
আমি ইসলাম ধর্ম পালন করবো। দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের নিয়ে ঐক্য গঠন করা হয়। সেখানে কেন ইসলাম ধর্ম
নেই? এই ঐক্য তাহলে কাদের বিরুদ্ধে?’ দেশের সিংহভাগ মুসলমানের মতো এই প্রশ্ন আমারও।
এই
সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে চারদিক থেকে চক্রান্ত চলছে। সরকার চাইলে বিএনএফ
এসব চক্রান্ত প্রতিহত করার পরামর্শ দেবে।’ তিনি বলেন,
সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতি ও মাদকে ছেঁয়ে
গেছে। সরকারকে এদিকে নজর দিতে বলছি। নইলে এসবের কারণে সরকারের
এবং দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে সরকার গঠনের সময় দুর্নীতি দমনের কথা
বলেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। আমি নিজেও সংসদে দু’বার দুর্নীতি দমন মন্ত্রণালয়
গঠন করতে বলেছি। কিন্তু তা হয়নি। দুর্নীতি দমনে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় ও একজন মন্ত্রী প্রয়োজন।’
তা না হলে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য
করেন তিনি।
সভায়
উপস্থিত দলটির কেন্দ্রীয় ও ছাত্র ফ্রন্টের নেতাকর্মীদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক বিষয়ের ওপর প্রচুর লেখাপড়া করারও পরামর্শ দেন তিনি।
বিএনএফের
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি নাসিরা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের কো-চেয়ারম্যান
মমতাজ জাহান চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, শাহরিয়ার ইকবাল, খালিদ হোসেন, বিএনএফ ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
0 facebook: