পোড়া মন ২ মুভিটি নির্মানাধিন থাকা অবস্থায়, মুভিটি সম্পর্কে কথা বলতে নারাজ জাজ মাল্টিমিডিয়া। মুভিটিতে যে ধার্মিক পর্দানশীল মহিলাদের নারী অধিকারের নাম করে মুসলমানদের ফরজ পর্দার বিরুদ্ধে উস্কে দেয়া হতে পারে বলে করা সন্দেহটা অবশেষে বাস্তবায়ীত হলো।
মুভির পোস্টারটি
ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন,
পোস্টারটিতে
বোরকা-হিজাব পরিহিত মেয়েদের চোখে মুখে আতংকিত দেখাচ্ছে, যেন ইসলাম তাদের
বোরকা হিজাব পরিয়ে নারী স্বাধীনতাকে ঘরের চার দেয়ালে আবদ্ধ করে রেখেছে।
হতে পারে,
এমন
একটি ইসলাম বিদ্বেষী গল্প চোখের পানি নাকের পানি একাকার করে মুভিটা তৈরী করা হয়েছে।
যাতে করে আপনার আমার পরদানশীল মা-বোনদের বোরকা-হিজাব খুলে বাজারের পতিতা বানাতে
পারে।
যদি তাই হয়,
তাহলে বাংলাদেশের মাটিতে বাস্তবায়ীত এই ইসলাম বিদ্বেষী
মুভিটির পরিচালক, প্রযোজক, নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা
নেওয়া হবে। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে সি,আই,এ ও মোসাদের
ইসলাম বিরোধী কোনো ধরনের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবেনা।
এর আগেও (আল্লাহ)
মেহেরবান গানটিতে অশ্লীল পোশাক পরিয়ে নর্তকীদের নাচানোর মতো দুসাহস দেখিয়ে ছিলো জাজ
মাল্টিমিডিয়া। নাউজুবিল্লাহ!!! পরবর্তীতে পৃথিবীর
আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশী মুসলিমদের প্রতিবাদে, গানের
লিরিক্স চেঞ্জ করতে বাধ্য হয় জাজ মাল্টিমিডিয়া।
কিন্তু এবার
ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার নির্মাতা, সিনেমার গল্প, ট্রেইলার, মুভি রিলিজ হওয়ার
আগে প্রকাশ করবেনা বলে জানিয়েছে মুভিটির নির্মাতা রায়হান রাফি...
ইসলামী
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগাম জনরোষ থেকে বাচতে এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছে প্রতিষ্টানটির
নির্মাতা। মুভি রিলিজ হওয়ার পরে সমালোচিত হলে বিনা পয়সায় মুভিটি প্রমোট হয়ে যাবে
এবং মানুষও মুভিটি দেখার জন্য বেকুল হয়ে যাবে তাই তারা এধরনের কৌশল অবলম্বন করেছে
বলে আমারও মনে হয়।
জাজ মাল্টিমিডিয়াকে
বাংলাদেশের মুসলিমরা একবার ক্ষমা করে দিয়েছে বলে বারবার
একই কাজ করে যাবে এবং ক্ষমা পাবে এরকম চিন্তা করার কোন অবকাশ নাই।
ইসলামী শরীয়তের
দৃষ্টিতে নারীদের পোশাক কেমন হওয়া উচিত?
পর্দার ব্যপারে
মহান আল্লাহ তা’লা আমাদের কি নির্দেশ দিয়েছেন বা নিষেদ করেছেন তাঁর
সামান্য বিশ্লেষণ করা হলো নিচে, মানা না মানা আপনার একান্ত নিজস্ব ব্যপার কিন্তু
আপনি তার অবমাননা করার কোন সুযোগ নাই। আর শরীয়ত মানা হচ্ছে তার জন্য ফরজ যে শতভাগ
কুরআন সুন্নাহর অনুসারী।
প্রত্যেকটা
মুসলিম মেয়ের জন্য পর্দা করা ফরয, এটা দ্বীন ইসলাম এবং মহান আল্লাহ তা’লার
হুকুম, এখন কেউ যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করে অথচ দ্বীন ইসলামের হুকুম অমান্য করে
তাহলে সে মুসলমান থাকতে পারবেনা। মহান
আল্লাহ তা’লা পবিত্র আল কুরআনে বলছেনঃ ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা
যেনো তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা
সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা
যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা,
শ্বশুর,
পুত্র,
স্বামীর
পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র,
স্ত্রীলোক
অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা
নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের
সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে
পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই মহান আল্লাহ তা’লা
সামনে তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [সূরা আন-নূরঃ আয়াত শরীফ ৩১।]
উপরে যে আয়াত শরীফটা
বলা হয়েছে অনেকে যানেন অনেকে যানেননা। যদি আয়াত শরীফের আরবির অর্থ কারো নিকট বোধগম্য
না হয় তবে ঐ আয়াত শরীফের পুর্ন অর্থ জানতে সূরাটির শানে নুজুল পড়ুন। মনে রাখা প্রয়োজন
কেউ ফরজ বিধান পালন না করলে সে কবিরা গুনাহের গুনায় লিপ্ত হবে কিন্তু অস্বীকার
করলে মুরতাদ তথা কাফির হয়ে যাবে।
বোনদের মধ্যে যারা
রব হিসেবে মহান আল্লাহ তা’লা-কে, দ্বীন হিসেবে ইসলাম কে, রাসূল হিসেবে নবী
করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে, আর বিধান হিসেবে কুরআন সুন্নাহ কে শতভাগ
মেনে নিয়েছে তাদের জন্য মাহরাম না হলে একজন পর পুরুষের সাথে কথা বলার হুকুম শরীয়তে
নেই। এর কোনো অনুমতি নেই। তবে বিশেষ কোনো প্রয়োজন দেখা দিলে কথা বলা যাবে। কিন্তু
সেক্ষেত্রে শরীয়ত নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারন করে দিয়েছে, যেমনঃ
১) যদি নারীদের
কাছ থেকে পুরুষের কোনো কিছু নেয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে সরাসরি
সামনে আসবেনা বরং পর্দার অন্তরাল থেকে চাইবে। কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ- [وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِن وَرَاء حِجَابٍ] তোমরা উনার স্ত্রীদের কাছে
কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। (সূরাহ আল আহযাবঃ আয়াত শরীফ ৫৩)
উপরের হুকুমটি
বিশেষভাবে নবী পত্নীগনকে লক্ষ্য করে বলা হলেও তা সমগ্র উম্মতের জন্য প্রযোজ্য।
প্রমানঃ- (মাআরেফুল কোরআন ৭ম খন্ড)
২) এবং এছাড়াও
যদি গায়রে মাহরাম নারীর সাথে কোনো পুরুষের কথা বলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে বাক্যালাপের
সময় নারীগন কৃত্রিমভাবে কন্ঠের স্বভাবসুলভ কোমলতা এবং লাজুকতা পরিহার করবে। অর্থ্যাৎ
এমন কোমলতা যা শ্রোতার মনে অনাকাংখিত কামনা/আগ্রহ বাসনার সৃষ্টি করে না। কুরআন
শরীফে আল্লাহ তা’লা ইরশাদ করেনঃ- [يَا نِسَاء النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاء إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا] হে নবী
পত্নীগণ! আপনারা অন্য নারীদের মত নন; যদি আপনারা মহান আল্লাহ তা’লাকে
ভয় করে থাকেন, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলবেন
না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করবেনা, যার অন্তরে
ব্যাধি রয়েছে, আপনারা সঙ্গত কথাবার্তা বলবেন। (সূরাহ আহযাবঃ আয়াত শরীফ ৩২)
আর যারা পর্দা
করেন তাদের পর্দা কেমন হবে তাও জেনে নিন।
১. নারীদের সতরঃ
গায়ের মাহরাম বা যাদের সাথে বিয়ে জায়েজ আছে তাদের সামনে পুরোটাই হচ্ছে তাদের
সতর। আর মাহরামদের সামনে মুসলিম সমাজে প্রচলিত যেই পোশাককে শালীন হিসেবে ধরা হয়ে
যেমন (যেমন-সালোয়ার-কামিজ) সে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে সে তার মাহরামদের সামনে চুল,
হাতের
কিছুটা অংশ এইগুলো উন্মুক্ত রাখতে পারে কিন্তু স্থনযুগল উন্মুক্ত রাখতে পারবেনা,
মোটকথা
অশ্লীল কোনো কিছু না হলেই হলো।
২. নামাযে মুখ,
হাতের
কবজি উন্মুক্ত থাকতে হবে। তবে পর পুরুষ থাকলে মুখও ঢেকে রাখতে হবে।
৩. কাফের,
ব্যভিচারী
নায়িকাদের পোশাক, স্টাইল ফ্যাশান অনুকরণ করা সম্পূর্ণ হারাম।
৪. পুরুষদের মতো
শার্ট, গেঞ্জি, ফতুয়া,প্যান্ট, জিন্স
এইগুলো পরা সম্পূর্ণ হারাম। ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই হারাম। এমনকি স্বামী যদি শুধু
তার জন্য পরতে বললেও তবুও হারাম, স্বামীর এই কথাটা মানা যাবেনা। বোরখার
নিচে জিন্সের প্যান্ট যদিও বা পুরোটা ঢাকা থাকে, তবুও হারাম। আর
আধা হিজাবি কিছু নারী থ্রি-কোয়ার্টার বোরখা (কোমর বা হাঁটু পর্যন্ত) পড়ে নিচে
টাইট সালোয়ার/প্যন্ট আরো অন্যান্য নাম না জানা চরম মাত্রার আপত্তিকর টাইট পোশাক
পড়ে। এরা চরম অজ্ঞ, ধোঁকাবাজ নারী, এদের দেখতে ভালো
লাগে দেখে ধোঁকায় পড়ে যাবেন না। লম্পট লোকদের চোখের জেনার দ্রব্য এই সমস্ত
নারীদের জান্নাতে যাওয়া কঠিন বৈ সহজ হবেনা। এইগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার লানত
পাওয়ার মতো কাজ।
৫. বোরখা হবে
ঢিলেঢালা, আরামদায়ক কাপড় ও পরিপূর্ণ সাইজের, অবশ্যইট টাইট ও
নক্সাদার, জ্বলমলে হবেনা, এইগুলো আরেক ফেতনা। বোরখা নারীদের সৌন্দর্যকে ঢাকার
জন্য, সেটাই যদি আরেকটা সৌন্দর্যের উৎস হয় তাহলে কি করে তা পর্দা হবে?
৬. চেহারা পর
পুরুষদের সামনে উন্মুক্ত রাখবেন না। অজ্ঞ বা অল্প শিক্ষিত দ্বায়ী অথবা আলেমদের
ভুল ফাতওয়া গ্রহণ করে নিজের দ্বীনের বারোটা বাজাবেন না। চেহারাটাই হচ্ছে পুরুষদের
জন্য মূল আকর্ষণ। সেইখানে চেহারা প্রকাশ করে গায়ে এক্সট্রা একটা কাপড় দিলে সেটা
কতটা কার্যকরী হবে নিজেই ফিকির করুন, ফেতনা এড়ানোর জন্য?
৭. সৌন্দর্যের
জন্য হাতে ডিজাইন করে মেহেদী দিতে পারবেন, তবে পর পুরুষকে
দেখানো যাবে না।
৮. জরুরী
প্রয়োজনের সময়(কর্মক্ষেত্রে, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ইউনিভার্সিটি বা মার্কেটে)
পুরুষের সাথে কথা বললে মিষ্টি ও নম্রভাষায় কথা বলা যাবেনা, আর এতেও পুরুষেরা লাই পেয়ে যায় পরে ডিস্টার্ব করবে বা
আপনাকে পথভ্রষ্ট করবে।
৯. ছবি তুলবেন না
কারন ছবি তুলা হারাম এবং তা আপনার পর্দা খিলাফের প্রথম ধাপ আর বর্তমানে সমাজের যা
অবস্থা আপনার বান্ধবী আপনার ছবি তার বয়ফ্রেন্ড/ছেলে বন্ধুদের দেখিয়ে বেড়াবে,
মাঝখান
থেকে আপনার গুনাহ হবে, ঐ ছেলদেরকে আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে আপনাকে পটাতে
বলবে। অনেকক্ষেত্রে নারীরাই নারীদের বড়ক্ষতি করে, এর প্রমান আমি
নিজে জানি। যত্রতত্র ছবি তুলে বেড়াবেন না, গায়ের মাহরামকে
চেহারা দেখাবেন না। আর তাদের ব্যপারে কিইবা বলার আছে, যারা ফেইসবুকে
ছবি পোস্টকরে নিজের মান-ইজ্জত পুরুষদের কাছে বিক্রি করে দেয় সামান্য ২-৪টা লাইক
পাওয়ার লোভে। এইগুলো কি আসলে এতোই দামি যে এইগুলোর জন্য জাহান্নামেও যেতে রাজি?
১০.রাস্তা ঘাটে
বেহায়া বেপর্দা মেয়েদেরমতো হৈচৈ করে পুরুষদেরকে উস্কে দেবেননা। আপনি একজন পুরুষের
যৌন কামনার জন্য কারণ হলে তার জন্য আপনি দায়ী থাকবেন। বাহিরে রাস্তা ঘাটে এমন
করবেননা যা পুরুষদের কামনার বস্তু হবে। একটা কথা মনে রাখবেন, নারীদের সবকিছু, সবকিছুই হচ্ছে “যিনাত”
বা
সৌন্দর্য, যা পুরুষদের মতো নয়। পুরুষদের চেহারা, শরীর, কন্ঠ
কোনোকিছুই নারীদের মতো সুন্দর নয়, এইজন্যই নারীদের সৌন্দর্য ইসলামে
মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত। ঝিনুকের মাঝে যেমন মুক্তারমতো সম্পদ নিরাপদে লুকানো থাকে,
ইসলাম
নারীদেরকেও সেইরকম মূল্যবান হতে শিক্ষা দেয়। চরিত্রহীন বেহায়া মেয়েদের মতো
পুরুষদের জন্য নিজেকে সস্তা অথবা ফ্রী করে দিতে নিষেধ করে।
১১. অনেকেই মনে
করেন সাধারণ পোশাক পরে মাথায় একটা ওড়না দিলেই হিজাব-পর্দা হয়ে যাবে। জানা থাকা
ভালো এটা ওয়েস্টার্ন (পথভ্রষ্টদের) স্টাইল। নারীদের হিজাব পর্দার জন্য সাধারণ
পোশাকের উপরে আলাদা বোরখা অথবা ঢিলেঢালা চাদর দিয়ে শরীর আবৃত করতে হবে, বিশেষকরে
ওড়না দিয়ে চেহারা ও বুকের উপরে ঝুলিয়ে দিতে হবে।
১২. ফতুয়া,
গেঞ্জি
বা টাইট সালোয়াড় পড়ে কিন্তু ওড়না না ব্যবহার করে বুক উন্মুক্ত রেখে যেই সমস্ত
মুসলিম নারী রাস্তায় নেমে পড়ে এরা আসলে রাস্তারই মেয়ে। এদেরকে শয়তানের মতোই
ঘৃণা করবেন।
১৩. নেটের
কাপড়ের বা অত্যন্ত পাতলা কাপড় যা দিয়ে আলো-বাতাস যাওয়া আসে করে এমনভাবে যে
শরীর দেখা যায়, এইসব ভুলেও পরবেন না - এইগুলো জাহান্নামী নারীদের
পোশাক। এদের ব্যপারেই হাদীস শরিফে বলা হয়েছে, এরা কাপড় পড়েও
উলংগ নারী যারা জান্নাতের সুবাসটুকুও পাবেনা।
১৪. পারফিউম,
সেন্টমেখে
বাইরে যাবেননা। যারা যাবে হাদীস শরীফে তাদেরকে ব্যভিচারি নারী হিসেবে বলা হয়েছে।
১৫. মুশরিকদের
ধুতির স্টাইলে মুসলিম নারীরা পায়জামা পড়বেন না, ফ্যাশানের কারণে
জাহান্নামে যাবেন না।
১৬. কলেজ,
ইউনিভার্সিটির
অনুষ্ঠানে বা পিকনিক উপলক্ষ্যে শাড়ী পড়ে বের হবেননা, হিজাব পর্দাকে
ছুঁড়ে ফেলে দেবেন না। (এটা আমি নিজেই দেখেছি, আর শুনলাম
বর্তমানে এটা দুঃখজনক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে)। মনে রাখবেন হিজাব পর্দাকে ছুঁড়ে ফেলে ২
দিনের দুনিয়াকে ভোগ করতে গেলে, দুনিয়টাও একদিন আপনাকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে
দেবে। একটু খোজ নিয়ে দেখেন, যেই সমস্ত মানুষ এইগুলোতে লিপ্ত তাদের শেষ পরিণতি কি
হয়েছে। ভার্সিটির শিক্ষক ছাত্রদেরকে উত্তেজিত করার দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়নি।
নিজের ইজ্জত-আব্রু নিজে রক্ষা করবেন।
১৭. শাড়ী পড়লে
অবশ্যই পেট পিঠ সহ শরীর ঢাকা থাকতে হবে। স্বামী ছাড়া অন্যকারো সামনে না পরাই ভালো।
শাড়ী দিয়ে আমাদের দেশের নারীদের লজ্জা-শরম ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ,
তরুণী
একটা মেয়েও পেটপিঠ বের করে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ে, কোনো লজ্জা-শরমের বালাই নাই। এখানে
বেশিরভাগ পয়েন্টের ব্যপারে অনেক সহীহ হাদীস শরীফে এসেছে এবং এই গুলোর ব্যপারে
অত্যন্ত কঠোর ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। আসলে বললে আরো অনেক অনেক বলা যাবে যে,
সারাদিনেও
শেষ হবেনা। আপনারা ইনশা’আল্লাহ পড়াশোনা করে নিজেরাও কিছু জানার ও বোঝার
চেষ্টা করবেন।
আর পরিশেষে যা
বলবো তা হচ্ছে মুসলিম হিসেবে জাজ মাল্টিমিডিয়ার “পোড়া মন ২ মুভিটি”
বর্জন করুন প্রতীবাদ করুন দেশের আইন আদালত মেনে। কোন ধরণের উগ্রতার প্রতীবাদ করবেন
না কারন ইসলামে উগ্রতা বলে কিছু নেই।
রাজিব হাসান চৌধুরীঃ সাংবাদিক, ইসলামিক লেখক ও প্রকাশক দৈনিক স্বদেশ বার্তা
রাজিব হাসান চৌধুরীঃ সাংবাদিক, ইসলামিক লেখক ও প্রকাশক দৈনিক স্বদেশ বার্তা
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ধর্ম ও জীবন
ধর্মীয় বিদ্বেষ
0 facebook: