15 January 2018

বিবিসির হলুদ সাংবাদিকতা অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, অথচ মুখে কুলুপ এটে আছে মুসলিম সমাজ

বিবিসির ফেসবুকের পেইজের পোষ্ট আর কমেন্ট
দুইদিন আগেও আমি একটি শর্টফ্লিম নিয়ে লিখা প্রকাশ করেছিলাম, এখানে দেখতে পারেন। শর্টফ্লিমটির নাম ছিল বৈষম্য। বিবিসির পোষ্ট লিঙ্কঃ https://goo.gl/8MGu6M কিছুক্ষন আগে দেখলাম বিবিসি এই শর্টফ্লিমটিকে নিয়ে নিউজ করেছে। নিউজটির শিরোনাম ছিল এমন, “বাংলাদেশে মেয়েদের কটাক্ষ ও গোপন ভিডিওর হুমকিতে ক্ষোভ। এমন একটি হেড লাইন দেখলে যে কেউ ভাববে হয়তো এখানে মেয়েদের ধর্ষণ করতে অথবা ইভটিজিং করতে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে এবং সেটি গোপণ ভিডিও করে ছেড়ে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে।

আসলে শর্টফ্লিমটির মূল গল্পছিলো, “একটি মেয়ে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করছে, একটি ছেলে মেয়েটিকে বাধা দেয়। মেয়েটি ছেলেটিকে বলে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করাও মেয়েদের সমঅধিকার। তাই ছেলেটি মেয়ের এই অযৌক্তিক সমঅধিকার বন্ধ করতে ভিডিও করে ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়, যাতে এই ধরনের মেয়েরা ভয় পায় এবং পাবলিক প্লেসে ধূমপান ছেড়ে দেয়।এইটাই ছিল মূলত শর্টফ্লিমটির গল্প।

অথচ বিবিসি এই নিউজটিকে এমন ভাবে উপস্থাপন করলো যাতে মানুষের সেন্টিমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়।

বিবিসি বলছে, এই শর্টফ্লিমটিতে অনেক উস্কানি দেওয়া হয়েছে এবং সবাই এই শর্টফ্লিটির বিরোধী। অথচ বিবিসির অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে গেলে পোষ্টটিতে দেখতে পারবেন পাবলিক কমেন্টের মাধ্যমে কতটা রিয়েক্ট করেছে এবং ধুলাই দিয়েছে বিবিসির মূর্খতাকে। আমি কিছু কমেন্টের অংশ ছবিতে তুলে ধরেছি। এবং জানতে পারলাম শর্টফ্লিমটির ডিরেক্টর ভিডিওটি ইউটিউব থেকে রিমোভ করে দিয়েছে।

বিবিসি এই নিউজটি ধারা সরাসরি পাবলিক প্লেসে ধূমপানকে সাপোর্ট দিয়েছে যা বাংলাদেশের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ কে লঙ্ঘন করেছে বিবিসি। ধূমপান আইন বিস্তারিত পড়তে - https://goo.gl/ZUVNSk

অথচ বিবিসি তারাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সতর্কতামূলক নিউজ করেছে ধূমপান নিয়ে - 

আমি এটি নিয়ে আগেই লিখা দিয়েছি কারন আমি জানতাম যে এটি সুক্ষ একটি বিষয় এবং বাংলাদেশের মেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি খারাপ সংবাদ।
মূলত বিবিসি হচ্ছে একটি সিআইএ এজেন্ট। তারা বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়।

বিবিসির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ-
১) বাংলাদেশকে একটি আমেরিকার লাস ভেগাসের মত বানানো।
২) বাংলাদেশের মানুষকে খারাপ কাজে ব্রেইন ওয়াস করা।
৩) নারীবাদী সেজে নারীদের পণ্য বানানো।
৪) দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করা।

৫) ইসলামী রাষ্ট্র থেকে একটি সেকুলার রাষ্ট্র তৈরী করা।

রণবীর ভট্টাচার্যঃ ব্লগার, লেখক, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ


শেয়ার করুন

0 facebook: