স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বানচাল করতেই মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ বলে
অভিযোগ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
বুধবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ
করেন বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট নেতারা। জোটের শরিক
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একাংশের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন বলেন, আদালত ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার রায় দিয়েছেন। সেই নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যেই গতকাল মঙ্গলবার হামলা চালানো হয়েছে বলে
আমরা ধরণা করছি।
গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর
হোসেন ও বিচারপতি মুহম্মদ আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট
বেঞ্চ আগামী ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে রায় দেন।
এ রায়ের এক সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের
রেজিস্ট্রার ভবনে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে গড়ে ওঠা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এদিন দুপুর থেকে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার
ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে নিজ কার্যালয়ে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
একপর্যায়ে উপাচার্যকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে ছাত্রলীগ। তারা কয়েক দফা হামলা চালিয়ে আন্দোলনকারীদের সেখান
থেকে সরিয়ে দেন।
এ হামলায় অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন
নন্দী, আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র মাসুদ আল মাহাদী, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির এবং
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রগতি বর্মণ।
0 facebook: