27 January 2018

নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মিত হচ্ছে


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ কুইন্স বোরোর প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কাটস জানিয়েছেন, বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকা এলাকার ক্যাপ্টেন টালিপার্কে নির্মিত হচ্ছে বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্মৃতির স্মারক শহীদ মিনারমঙ্গলবার কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি নিউইয়র্কে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য জ্যামাইকা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলসংগঠনটি পাঁচ বছর আগে কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্টের কাছে দাবিটি জোরালোভাবে উত্থাপন করেতখন মেলিন্ডা কাটস কুইন্সে একটি স্থায়ী শহীদ নির্মাণে বাংলাদেশিদের প্রতিশ্রুতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে

মেলিন্ডা সেই সময় বলেছিলেন- তিনি বোরো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে শহীদ মিনার স্থাপনের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন

এর পর থেকে ধীরগতিতে হলেও শহীদ মিনার নির্মাণের প্রক্রিয়া এগোতে থাকেপ্রথম দিকে এ শহীদ মিনার কোথায় স্থাপিত হবে তা নিয়ে নানাজনের নানান মত ছিল

অবশেষে মেলিন্ডা কাটস জানান, জ্যামাইকার হাইল্যান্ড অ্যাভিনিউয়ে ১৬৫ ও ১৬৭ স্ট্রিটের মাঝখানে ক্যাপ্টেন টিলিপার্কে স্থায়ী শহীদ মিনারটি নির্মিত হবেগত মঙ্গলবার স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের ব্যাপারে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন বোরো প্রেসিডেন্ট

তিনি এ সময় শহীদ মিনার প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ডেকে পাঠানমেলিন্ডা তার কাছে শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়ে জানতে চান

বিশেষ করে এটি কোথায় হবে জানতে চাওয়া হলে দায়িত্বরত ওই কর্মকর্তা জানান, জ্যামাইকার ক্যাপ্টেন টিলিপার্কে শহীদ মিনার নির্মিত হবেএ নিয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিদের সঙ্গে জোর আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি

মেলিন্ডা কাটস জানান, শিগগিরই শহীদ মিনার স্থাপনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানাবেন তিনিএ বিষয়ে জ্যামাইকা-বাংলাদেশে ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, এ খবরটি আমাকে দারুণ আনন্দ দিচ্ছেদীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলামস্থায়ী শহীদ মিনারটি হলে বাংলাদেশের ইতিহাস বিশেষ করে ভাষার জন্য যে বাঙালি জীবন দিতে পারে সেটি প্রবাসের নতুন প্রজন্মসহ অন্য কমিউনিটিকেও জানানো সম্ভব হবে

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি ও টেক্সাসে দুটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মিত হলেও বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউইয়র্কে কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার ছিল নাজ্যাকসন হাইটস, ব্রুকলিন, ব্রঙ্কসসহ বিভিন্ন বোরোতে অস্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করে নিউইয়র্কের প্রবাসীরা মহান একুশে পালন করে আসছেন

গত বছর মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতিসংঘের সহায়তায় জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে অস্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ভাস্কর্য স্থাপিত হয়এর ডিজাইন করেন শিল্পী খুরশিদ আলম সেলিমভাস্কর্যটি তৈরি করেন শিল্পী মৃণাল হক


শেয়ার করুন

0 facebook: