স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ মামলার রায়ে কারাদণ্ড হলে বেগম জিয়াকে অন্তত তিন দিন কারাগারে থাকতে হতে পারে।কারন জিয়া অরফানেজ
ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি। রায় নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের উত্তেজনা চরমে। আর এমন সময় স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় ব্যস্ত বেগম জিয়া দন্ডিত হলে কোথায় রাখা হবে সেই স্থান নির্বাচনে। সেই কারাগার কোথায় হবে তা নিয়ে
দফায় দফায় আলোচনা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানায়, নিরাপত্তার কারণে বেগম জিয়াকে বন্দী রাখার স্থান নিয়ে
চিন্তিত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে বেগম জিয়াকে কাশিমপুর কারাগারে রাখার কথা ভাবা হয়েছিল। তবে, এখন ভাবা হচ্ছে বেগম জিয়ার গুলশানের বাড়ির কথা। ওই বাড়িকেই সাবজেল করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওই বাড়িতেই
কারারক্ষী সহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এখনো পর্যন্ত
বেগম জিয়ার গুলশানের বাড়িকে সাবজেল করার বিষয়টিই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ
সংশ্লিষ্টদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তবে এরপরও আরেকটি বিকল্পের কথা শোনা যাচ্ছে। দন্ডিত হলে বেগম জিয়া হয়তো
ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। কারাবিধি মতে, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও
কারাকতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি যদি নিজ খরচায় কোনো হাসপাতালে
থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে হাসপাতালেই অবস্থান
নেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা আসছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
জিয়া অরফানেজ
ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে ঘিরে সারাদেশের বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের
নেতা-কর্মীরা ঢাকা আসতে শুরু করেছেন। ৮ ফেব্রুয়ারির আগেই এসব নেতা-কর্মী ঢাকায় প্রবেশ করবেন বলে একাধিক সূত্র
নিশ্চিত করেছে।
৮ ফ্রেবয়ারি
ঢাকায় অন্তত ১০ লাখ নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটানোর টার্গেট নিয়েছে বিএনপি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতারা
যোগাযোগ শুরু করেছেন তৃণমূলে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও কেন্দ্রীয় নেতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজধানীতে আসতে শুরু
করেছেন।
নাম প্রকাশ না
করার শর্তে বিএনপি নিবার্হী কমিটির এক নেতা বাংলা ইনসাইডারকে জানান,বিএনপির প্রধান টার্গেট হচ্ছে রাজধানীর আশপাশের এলাকা। বিশেষ করে মানিকগঞ্জ, মুন্সীগজ্ঞ, নরসিংদী, কুমিল্লা, গাজীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, টাঙ্গাইল জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নেতা-কর্মীরা ঢাকায়
সমবেত হবে। এসব নেতা-কর্মীদের হোটেলে
অবস্থান না করে আত্বীয়-স্বজন কিংবা মেসে অবস্থান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশি নজরদারি
এড়িয়ে যাতে নেতা-কর্মীরা ৮ ফেব্রুয়ারি আদালত চত্বরের আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিতে
পারে সে ব্যাপারেও বিশেষ নির্দে শনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা থেকেও বিশেষ ব্যবস্থায় নেতা-কর্মীদের
ঢাকায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বরিশাল থেকে বেশ কয়েকটি লঞ্চ যোগে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন
বলে জানা গেছে।
জাতীয়তাবাদী
যুবদলের কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, নেত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে
কারাগারে নেওয়া হলে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যুবদলের পক্ষ থেকে
মাঠের নেতা-কর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নেতা জানান, খালেদা জিয়াকে কারাগারমুখী করা হলে তা ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা
হয়েছে। অন্তত নগরীর এক হাজার স্পটে
মানব ঢাল গড়ে তোলা হবে।
0 facebook: