![]() |
প্রতিকি ছবি |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মঙ্গল এবং বৃহস্পতি, এই দুই গ্রহের মাঝে রয়েছে
একটি গ্রহাণু বলয়। যা ভর্তি সোনা, লোহা এবং নিকেলের মতো মূল্যবান
সব ধাতু দিয়ে। যার মূল্য প্রায় ৭০০ ‘কুইন্টিলন’ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ সাতের পর কুড়িটা শূন্য। তাই ধনী হওয়ার সহজ উপায় বাতলে দিচ্ছে নাসা।
হিসাবের নিরিখে
তা এতটাই যে, পৃথিবীবাসী সাত বিলিয়ন মানুষ প্রত্যেকে আয় করে নিতে
পারেন কড়কড়ে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সকলেই হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি। এই খনন অভিযানের দায়িত্বে রয়েছে ‘ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ’ (ডিএসআই)। যে সংস্থার কাজই হল মহাকাশে এই
ধরনের খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ গ্রহাণু বলয়ের অনুসন্ধান করা ও পরে সেখানে খননকাজ
চালানো।
ডিএসআই
ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার বিসনেজ পার্কে অবস্থিত। চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়ে। এর আগে নাসার ‘ডন’, জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন
এজেন্সির (জেএএক্সএ) হায়াবুসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ)-র রোসেট্টা
খনিজ পদার্থে ভরপুর একাধিক গ্রহাণু বলয়ে অভিযান চালিয়েছিল।
কিন্তু এই সব ক’টি অভিযানের ব্যয়নির্বাহ হয়েছিল সরকারি তহবিল থেকে। এদের থেকে প্রযুক্তি এবং
কৌশলের প্রয়োগে একটু হলেও আলাদা ডিএসআই। তাদের গ্রহাণু-অভিযানে সময়, অর্থ দুইই বাঁচে। ‘অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং’ অর্থাৎ গ্রহাণু-বলয়ে খনন
অভিযান আগের তুলনায় অনেকটাই সাশ্রয়ী হয়েছে এই ডিএসআই'র কল্যাণে।
বর্তমানে চলছে
সেরা ‘লোকেশন’ বাছাইয়ের কাজ। স্থান চূড়ান্ত হয়ে গেলেই
বিশেষ রোবোটিক মহাকাশযান শুরু করবে সম্পদ আহরণের কাজ। রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট জন
জারনেকির মতে, "প্রথমে এই গ্রহাণু-বলয় খনন
অভিযান কল্পবিজ্ঞান মনে হলেও আজ তা পরীক্ষিত সত্য। আগামী দশকের মধ্যেই শুরু হবে অভিযান। এবার ভূগর্ভ ছেড়ে মহাকাশে
খনিজের খোঁজ চালাবে মানুষ। ক্রমশ বাড়তে থাকা জনসংখ্যা ও বিপুল চাহিদা মেটাতে এবার মানব জাতির ভরসা
মহাকাশই।"
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: