স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ জিয়া অরফানেজ
ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
জামিন আগামী রোববার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার
সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ বুধবার (১৪ মার্চ) এ আদেশ দেন।
বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের
করা আপিল শুনানিতে দুদকের আইনজীবীরা সময় আবেদন করলে আদালত আগামী রোববার পর্যন্ত
জামিন স্থগিত করে ওই দিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
একই সঙ্গে দুদক
ও রাষ্ট্রপক্ষকে রোববারের মধ্যে আদালতে লিভ টু আপিল করতে বলেন আদালত। আদালতে আজ (বুধবার) রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম
খান ও খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদিন।
এর আগে গত
মঙ্গলবার সকালে এক ঘণ্টার ব্যবধানে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে
রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক পৃথক পৃথক দুটি আবেদন করেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আজ (বুধবার) আপিল বিভাগের নিয়মিত ও
পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বারজজ আদালত।
রাষ্ট্র,
দুদক ও আসামি পক্ষের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি হাসান
ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন।
নিম্ন আদালত থেকে
ওই মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর তা দেখে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি
সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১২ মার্চ সোমবার খালেদার চার মাসের অন্তবর্তী
জামিন মঞ্জুর করেন। সঙ্গে সঙ্গে তার আপিল শুনানির
জন্য ওই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক প্রস্তুত করারও
নির্দেশ দেন।
খালেদা জিয়ার
জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপিল শুনানি শুরুর আদেশ
চাইলেও হাইকোর্ট চারটি যুক্তিতে জামিন মঞ্জুর করেন। এগুলো হলো- ১. নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে, এ সাজায় হাইকোর্টে জামিনের রেওয়াজ আছে। সে বিবেচনায় তিনি জামিন পেতে পারেন। ২. বিচারিক আদালতের নথি এসেছে, কিন্তু আপিল শুনানির জন্য এখনও প্রস্তুত হয়নি। ফলে আসামি জামিনের সুবিধা পেতে পারেন। ৩. বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে খালেদা জিয়া জামিনে ছিলেন;
এর অপব্যবহার করেননি। আদালতে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন। ৪. বয়স এবং বয়সজনিত শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে
জামিন দেয়া যায়।
উল্লেখ্য,
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া
অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক
আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে
তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া
হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি
কারাদণ্ডের রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারারসন খালেদা জিয়া।
0 facebook: