স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর পবা
উপজেলার বড়গাছি গ্রামের প্রয়াত জসিম উদ্দীন মিস্ত্রির ছেলে আব্দুল মান্নান আগেও ৩টি বিয়ে
করেছেন। তিন বউকেই তালাক দিয়েছেন। এরমধ্যে এক বউয়ের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। কিন্তু মান্নান বিয়ে ও সন্তানের কথা গোপন রেখে গত
বুধবার চতুর্থ বিয়ে করেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার বানিয়াল গ্রামের প্রয়াত লখিম
উদ্দীনের মেয়ে সম্পা খাতুনকে (১৮)।
এই বিয়েতেও বর
আব্দুল মান্নান ৭৫ হাজার টাকা বাকিতে দেনমোহর করে মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার
টাকা যৌতুক নেন। পরে সেদিনই আব্দুল মান্নান তার
নতুন বউ সম্পাকে নিয়ে নিজ বাড়ি বড়গাছিতে চলে যান। কিন্তু বিপত্তি ঘটে বিয়ের পরদিন।
বৃহস্পতিবার
মেয়ে পক্ষের লোকজন মেয়েকে আনতে গিয়ে আব্দুল মান্নানের আগের তিনটি বিয়ে ও সন্তান
থাকার বিষয়টি জানতে পারেন। তবে তারা বিষয়টি মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে বুঝতে না দিয়ে কৌশলে মেয়ে ও মেয়ের
জামাই মান্নানকে নিয়ে তানোরের বানিয়াল গ্রামের চলে আসেন।
এরপর শনিবার ‘৯৯৯’ এ ফোন করে মেয়ে পক্ষের লোকজন
বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ হেড কোয়ার্টার
থেকে তানোর থানা ওসিকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তানোর থানার এএসআ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ
সদস্য ওইদিন বিকেলে বানিয়াল গ্রাম থেকে নতুন বর আব্দুল মান্নানকে আটক করে থানায়
নিয়ে যান। শেষমেষ রাতে ছেলে পক্ষের লোকজন
থানায় এসে যৌতুকের ৪০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে তালাক নেন। এছাড়া এ রকম কাজ আর করবেন না মর্মে থানায় মুচলেকা
দিয়ে ছাড়া পান বর। তবে বিষয়টি টের পেয়ে বিয়ের ঘটক
শাহীন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
তানোর থানার
ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মেয়ে পক্ষ বরকে আটকে
রেখেছিল। পরে তারা সমঝোতা করে নিয়েছে।
খবর বিভাগঃ
অন্যান্য সংবাদ
বিভাগীয় সংবাদ
রাজশাহী বিভাগ
0 facebook: