স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ নেপালে
ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার উড়োহাজার দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির জানাজা
সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকালে নেপালে বাংলাদেশ
দূতাবাসে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে
বাংলাদেশ দূতাবাসে কাছে নিহত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর করে নেপাল কর্তৃপক্ষ। ইউএস বাংলার উড়োহাজার
দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- আঁখি
মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা,
বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম,
মিনহাজ বিন নাসির, তামারা
প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা,
অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান,
পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট
পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
জানা গেছে,
হস্তান্তর করা ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ আজই (সোমবার) ঢাকা ফেরত
আনা হবে। বেলা ১১টার দিকে ইউএস বাংলার
একটি ফ্লাইটে প্রথমে নেপালে যাওয়া স্বজনদের দেশে ফেরত আসার কথা রয়েছে। পরে বিমান বাহিনীর একটি
ফ্লাইটে দুপুর ২টায় ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকা পৌঁছানো কথা রয়েছে।
এদিকে
কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া ৬ বাংলাদেশিকে
দেশে ফেরত আনা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল (রোববার) বিকেলে আহত শাহীন বেপারীকে দেশে ফিরেয়ে আনা হয়েছে।
এর আগে শেহরিন
আহমেদ, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, মেহেদী হাসান, আলমুন্নাহার অ্যানি ও রাশেদ
রুবায়েত দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
উল্লেখ্য,
গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা
এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি
ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
বিমানটিতে মোট ৬৭
যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর
সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: