![]() |
ফাইল ছবি |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে বলেছেন, ‘একটি অবৈধ সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য একটি রক্তাক্ত নির্বাচন উপহার দিচ্ছে। কারণ তারা নিজেরা জাল ভোট, ভোট ডাকাতি করে নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে সিল মেরে বিজয়ী করছে। ভোটের আগের রাতেই তারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেছে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার পরে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় সংবাদ সম্মেলনে এসে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিকের বেশি ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হচ্ছে। এসব কাজে পুলিশ আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের সহযোগিতা করছে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা মার্কা নির্বাচনের নমুনা হলো বিরোধী দলের প্রার্থীর এজেন্টদের পুলিশ গিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করবে। তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেবে। ভোটকেন্দ্রে গেলে এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হবে। এ হলো হাসিনা মার্কা নির্বাচনের নমুনা।’
‘ভোটারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এ সরকার। কারণ তাদের তো জনগণের ভোট দরকার নেই। তাদের দরকার একটি গণতন্ত্রের লেবাস লাগিয়ে আজীবন ক্ষমতায় থাকা। আর এ কাজে তাদের সহযোগিতা করছে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘খুলনার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি গাজীপুরে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুলনার নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি মহাসমারোহে চলছে। গাজীপুরে শুধু খুলনার নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হয়নি তার চেয়ে নতুন মডেল গাজীপুরে প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন নতুন নতুন মডেল আবিষ্কার করছে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে।’
বিএনপির নেতা বলেন, আমরা প্রতিটি নির্বাচনে স্বচ্ছ ভোট জালিয়াতি, ভোট ডাকাতি দেখছি। একের পর এক নতুন পন্থা আবিষ্কার করে নতুন কায়দায় বাকশাল কায়েম করছে। যেখানে সংবাদপত্র, ভোট, কথা বলার সুযোগ সব থাকছে। তবে সব বলতে হবে আওয়ামী লীগের পক্ষে।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার গাজীপুরের ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। শিক্ষিত মানুষ চাকরির জন্য এমন করতে পারে তা আমরা ভাবতে পারি না। তিনি সরকারি দলের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাণ্ডারি হিসেবে কাজ করাছেন’ প্রশ্ন তুলেন রিজভী।
0 facebook: