সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে গত ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিপিই। গত ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ আবেদন প্রক্রিয়া চলে। এসব পদের বিপরীতে সারা দেশে প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা যায়, ১২ হাজার পদের বিপরীতে সারা দেশে ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ আবেদন জমা পড়ে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকরিবিধি অনুযায়ী আবেদনের ক্ষেত্রে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে পুরুষদের জন্য স্নাতক বা সমমানের পাস থাকতে হবে। আর নারীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয়/বিভাগ/সমমানে পাস হতে হবে।
ডিপিই সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে রাজস্বখাতভুক্ত আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সহকারি শিক্ষক নিয়োগে পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে নারী আবেদনকারীদের ৬০ শতাংশ কোটায় এইচএসসি বা সমমান পাস এবং পুরুষের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় স্নাতক বা সমমান পাস রাখা হয়েছে। এছাড়া পোষ্য কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য কোটাও প্রযোজ্য হবে।
এর আগে ২০১৪ সালের স্থগিত নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে চুড়ান্ত ফল প্রকাশ হতে পারে।
খুব দ্রুত লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। ডিপিই ওয়েবসাইটে dpe.teletalk.com.bd প্রবেশপত্র ও যাবতীয় নির্দেশনা দেয়া হবে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: