পদ্মার উপকূলে এ তীব্র ভাঙনের পেছনে প্রধানত দুইটি কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। একটি হল- এটি প্রাকৃতিক ও মুক্ত পানি প্রবাহবিশিষ্ট নদী। বিভিন্ন সময়ে তীরবর্তী ভবনগুলো রক্ষা করতে বালুর বস্তা ফেলা ব্যতীত যার তীর সুরক্ষার তেমন ব্যবস্থা নেই। আর দ্বিতীয়টি- নদীর তীরে বড় বালুচর রয়েছে যা দ্রুতই ধসে যেতে পারে।
প্রতিবেদেন নাসার বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইটে ধারণকৃত সাম্প্রতিক ছবির সঙ্গে ১৯৮৮ সালে ধারণকৃত ছবির তুলনা করেছেন। তারা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পদ্মা নদীর প্রস্থ, গভীরতা, গঠন ও সামগ্রিক আকারের পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করেন। প্রত্যেকটি ছবিতে নদীর পৃথক পৃৃথক ভূতাত্ত্বিক অবস্থা পাওয়া যায়।
সাম্প্রতিক ছবিগুলো এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের শুষ্ক মৌসুমে ধারণ করা হয়। এসব ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার গবেষকরা বলছেন, গত তিন দশকে পদ্মা নদী তুলনামূলক সংকীর্ণ ও সোজাসুজি বিস্তার লাভ করেছে। তবে, সম্প্রতি তা সাপের মতো এঁকেবেঁকে বিস্তৃত হচ্ছে। এছাড়া, পদ্মায় সবচেয়ে বেশি ভাঙন হয়েছে হরিরামপুর উপজেলার উপকূল অঞ্চলে।
সংস্থাটির মতে, গত ৫১ বছরে পদ্মায় বিলীন হওয়া মোট জমি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর শিকাগোর সমান।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: