27 September 2018

জনসভায় অবস্থান পরিষ্কার, সরকারের আচরণ দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে দলীয় অবস্থান এখনই খোলাসা করছে না বিএনপি। ক্ষমতাসীনদের গতিবিধির উপর নজর রেখে কৌশলে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে শনিবারের জনসভার অনুমতি মিললে সেখান থেকে দলীয় অবস্থান তুলে ধরে নেতাকর্মীদের প্রাথমিক দিকনির্দেশনা দেয়া হবে।

দলটির নেতারা বলছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও কর্মসূচি তুলে ধলতে চায় তারা। তবে এখনো শনিবারের জনসভার অনুমতি পায়নি বিএনপি। সংঘাত এড়াতে ‘পুলিশের পরামর্শে’ কর্মসূচি পিছিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দিন ঠিক করেছে।

কিন্তু একই দিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের কর্মসূচি থাকায় ওই দিন কর্মসূচি পালন নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে দলটির নেতারা আশাবাদী, তারা জনসভা করার অনুমতি পাবেন।

জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাচ্ছি না। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জনসভার অনুমতি চেয়েছি। আশা করি, আমরা অনুমতি পাবো।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিটাই হচ্ছে কৌশলের। আমাদের তাই সরকারে গতিবিধির উপর নজর রেখে কৌশলের রাজনীতিটা করতে হচ্ছে। কারণে দেশে এখন একদলীয় নয়, এক ব্যক্তির শাসন চলছে।’ নির্বাচনের যাওয়া না যাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখনই সব বলে দিলে হবে না তো। অপেক্ষা করুন, সময়মতো সব জানতে পারবেন।’

এদিকে বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা শেষে সমাবেশের দিন পরিবর্তনের কথা উল্লেখ মির্জা ফখরুল বলেন, সেদিন ( ২৯ সেপ্টেম্বর) নাকি আওয়ামী লীগের কোনো একটা মতবিনিময় সভা আছে, আমি ঠিক জানি না। এটা মহানগর নাট্যমঞ্চে সম্ভবত আছে। বহুদূরে এই মতবিনিময় সভা। তার সাথে আমাদের জনসভার সম্পর্কটা কোথায়, বিরোধ কোথায় সেটাতো আমরা বুঝতে পারছি না।’
জনসভা নিয়ে ১৪ দলের সম্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নাসিম সাহেব এক সভায় বলেছেন, রাজপথে, গলিতে যেখানে পাবা সেখানে আটকিয়ে দাও। সেখান থেকে যেন বিএনপি বেরিয়ে আসতে না পারে। আর জাহাঙ্গীর কবির নানক বলছেন, হাত-পা ভেঙে দাও।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এইতো হচ্ছে তাদের গণতন্ত্রের ভাষা। জনগণ বিবেচনা করবে এই সংঘাত-সহিংসতা কারা শুরু করে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর কারা লগি-বৈঠা দিয়ে ২৭ জন তরুণকে হত্যা করেছিল এটা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। দুর্ভাগ্য এটা যে আমাদের মিডিয়া কেন জানি এসব সামনে তুলে নিয়ে আসে না।’ এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনসভা থেকে আমরা আমাদের নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেব, আমাদের ভবিষ্যত কর্মপন্থা, ভবিষ্যত কর্মসূচি- এগুলো আসবে।’

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা কখনো সংঘাত চাই না। আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নিবে তারা কার সঙ্গে আছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে প্রস্ততি নিচ্ছি। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। জাতীয় ঐক্য তৈরি হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ে হবে।’

জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘ আমরা (বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ) পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। কথা বলে আসছি। আমরা আশাবাদী জনসভার অনুমতি পাব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাই। জনগণের সামনে আমাদের দাবি গুলো তুলে ধরতে চাই।’


শেয়ার করুন

0 facebook: