এর আগে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবসুদ সালাম আজাদ।
আবদুস সালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন- ‘আমরা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের ২২ শর্তে বেলা ২টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি দিয়েছেন।
ডিএমপি যে ২২টি শর্ত দিয়েছে তা হলোঃ
১. এই অনুমতিপত্র (ডিএমপির অনুমতি) স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
২. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জনস্বার্থ, রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা বিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না।
৩. উসকানিমূলক কোনও বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
৪. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনও বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
৫. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে জনসভার যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৬. নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে পর্যাপ্ত নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৭. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৮. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশগেটে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং জনসভায় আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় Vehicle Scanner Search Mirror এর মাধ্যমে জনসভাস্থলে আসা সব যানবাহন তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১১. অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।
১২. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেকশন সিস্টেম স্থাপন করা যাবে না।
১৩. অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
১৪. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
১৫. অনুমোদিত জনসভা ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
১৬. জনসভা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে লোকজন সভাস্থলে আসতে পারবে।
১৭. বিকেল ৫টার মধ্যে জনসভার যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
১৮. অনুমোদিত সময়ের আগে কিংবা পরে অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনও অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোনও প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
১৯. কোনও ধরনের লাঠিসোটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
২০. মিছিল সহকারে জনসভাস্থলে আসা যাবে না।
২১. উল্লেখিত, শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২২. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্ত অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
0 facebook: