21 October 2018

বেসরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বছরেই পেনশন

ছবিঃ সংগৃহীত
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ আগামী বছর থেকে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছেএ জন্য চালু করা হবে একটি কন্ট্রিবিউটারি পেনশন ফান্ডএই ফান্ডে বেসরকারিখাতের চাকরিজীবীরা তাদের বেতনের একটি অংশ জমা রাখবেনএকই ফান্ডে অংগ্রহণ থাকবে এই সব চাকরিজীবীর নিয়োগ কর্তাদেরওএই জন্য গঠন করা হবে একটি সার্ব্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষইতিমধ্যে এই পেনশন ব্যবস্থার একটি রুপরেখা প্রণয়নের খসড়া প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে

এই বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের শীর্ষ স্থানীয় এক কর্মকর্তা গত সপ্তাহে এই প্রতিবেদকে বলেছেন, একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এই ফান্ডের একটি রুপরেখা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছেএই রুপরেখা প্রণয়ন হলে তা অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবেএরপরই উদ্যোগে নেয়া হবে এ ব্যবস্থা চালুরসব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর থেকে সীমিত পর্যায়ে হলে বেসরকারিখাতের পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে

এই পেনশন ফান্ডের ধরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতে বেসরকারিখাতে কমর্রত একজন চাকরিজীবী তার বেতনের একটি অংশ পেনশন কন্টিবিউটারি ফান্ডে প্রদান করবেনফান্ডে সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীদের নিয়োগকারি প্রতিষ্ঠানও অবদান রাখবেনএই ফান্ডটির পুরোটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে সরকারের হাতেএখানে সরকারি চাকরিজীবীদের ভবিষ্যত পেনশন অর্থও জমা থাকবেসরকারি-বেসকারি কর্মকতা-কর্মচারিদের জন্য এটি একটি সার্বজনীন ফান্ডহবেসংশ্লিষ্ট চাকুরীজীবীরা এই ফান্ডে একটি কোডনাম্বারের বিপরীতে অর্থ জমা রাখবেনতারা চাকরি পরিবর্তন করলেও কোড নাম্বারের কোনো পরিবর্তন হবে নাঅবসর নেয়ার পর রুপরেখা অনুযায়ী এই কোডের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পেনশন পাবেন

এই ফান্ডের টাকা সরকার বিভিন্ন লাভজনকখাতে বিনিয়োহ করে মুনাফা করবে এবং এই মুনাফার অর্থ ফান্ডে অংশ নেয়া চাকরিজীবীরাও পাবেনতবে কাউকে বাধ্য করা হবে না এই ফান্ডে অংশগ্রহণের জন্যবেসরকারি উদ্যোক্তারা এ জন্য কোনো কর রেয়াত পাবেন কীনা-এ প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগের কর্মকতা-নাসূচক জবাব দেন

এর আগে বেসরকারি খাতে পেনশন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রথম কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতএর মাস দু-এক পরে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যেও এ বিষয়ে তাঁর কথা থাকেঅর্থমন্ত্রীর মতে, নগরায়ণের কারণে একক পরিবারের সংখ্যা বাড়ছেফলে ভবিষ্যতে তাঁদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছেসরকারের একার পক্ষে এ ঝুঁকি মোকাবিলা করা দুরূহতাই দেশের সব শ্রমজীবী মানুষসহ প্রবীণদের জন্য একটি সর্বজনীন ও টেকসই পেনশন পদ্ধতি চালু এখন সময়ের দাবি

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের আরও বলেছেন এখন থেকে আর কাউকে তার পেনশনের হিসাব করা, পেনশন নেয়া -এগুলো চিন্তা-ভাবনা করতে হবে নাইট ইজ ইন কিপিং উইথ দ্য ফিলোসফি অব দ্য স্টেটকারণ, এখন ফিলোসফি হলো যত সিটিজেন আছে সবাইকে একটা সুযোগ করে দিতে হবেএটা ইউনিভার্সল পেনশন, যেটা আমরা মোর অল লেস কমিটেড, যে কোনো সময় হয়তো সেটা হবেতিনি বলেন, দেশের পেনশন ব্যবস্থার সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিল ১৯৮৩ সালেআজ যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যুগান্তকারীএখন থেকে পেনশন ওঠাতে ছোটাছুটি করতে হবে না

মুহিত বলেন, ‘এ জন্য আগামী বাজেটে আই অ্যাম থিঙ্কিং অ্যান্ড অ্যানাউন্সিংআমরা পেনশন সিস্টেমের যেটা করলাম, এটা নিয়ে দেশের প্রত্যেক নাগরিক বেনিফিটেড হবেকারণ জাতীয় পেনশন পদ্ধতিতে সকলকে ইনকর্পোরেট করা হবে১৬ কোটি মানুষ উড বি ইনকর্পোরেটেড ইন দ্য ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো আগেও বলেছি আমরা চিন্তা করছি, পেনশন সিস্টেম ফর দ্য হোল ন্যাশনআমি সেটার রূপরেখাটা অ্যানাউন্স করবএটা ইন্ট্রোডিউস হবে না ইমিডিয়েটলি বাট উই স্যাল অ্যানাউন্স দ্য আউটলাইন অব দ্য ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমএটা নিয়ে আমাদের এখানে কাজ হচ্ছে

এ সময় অর্থ সচিব(তৎকালীন) মুসলিম চৌধুরী বলেন, ‘ইউনিভার্সল পেনশন সিস্টেমের জন্য ইনস্টিটিউশন তৈরি করতে হবেফরমাল ও ইনফরমাল পেনশনের জন্য রেগুলেটরি অথরিটি লাগবেস্যার (অর্থমন্ত্রী) এবার বাজেটে এটার রূপরেখা দেবেনসেটার ব্যসিসে গভর্নমেন্ট ওয়ার্ক অন ইট


শেয়ার করুন

0 facebook: