19 April 2018

তোর জামাই, সংসারসহ সব ছিন্নভিন্ন কইরা ফালামু ডিআইজি মিজান


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ডিআইজি মিজানের হুংকার যেন থামছেই নাতাঁর লাগাম ধরার কেউ নেইএকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদ পাঠিকাকে একের পর এক হুংকার, হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছেন তিনিইতিমধ্যে ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে দেশি মালপেজ খুলে সংবাদ পাঠিকার ছবি অশ্লীলভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগ এনে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ডিসির কাছে আবেদন করেছেন তিনি

এরই মধ্যে একটি বিশেষ স্থান থেকে বেপরোয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের হুমকি-ধমকি সংক্রান্ত ফোন কলের বেশ কয়েকটি অডিও পাওয়া যায়ফোনালাপের অডিওতে ডিআইজি মিজানকে ভয়ংকরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে শোনা যায় একটি অডিওতে ডিআইজি মিজান ওই সংবাদ পাঠিকাকে বলতে শোনা যায়, ‘তোর জামাইরে ঘর থেকে বাইর হতে বলপোলাপান রেডি আছেসব রেডি আছেতোকে মাইরা ফালামুকোন... পোলা তোরে বাঁচায় আমি দেখুম

এ সময় ওপাশে অঝোরে কাঁদছেন ওই সংবাদ পাঠিকাডিআইজি মিজান বলছেন, যেখানেই যাবি তোর নুড (অশ্লীল) ছবি পাঠানো হবেতুই আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করছিসএর জবাবে সংবাদ পাঠিকা বলছেন, ‘আমি কিছুই করিনিআমার ছেলের কসম খাইয়া বলছি, আমি কিছুই করিনিআবার হুমকি দিয়ে মিজান বলেন, ‘শুধু একটু বাসা থেকে বাইর হয়ে দেখতুই সাম্বাদিক (সাংবাদিক)... (গালি দিয়ে) বাচ্চাদের বলবি আমি থ্রেট করছিআমাকে সাসপেন্ড করাইছিস না?’

এরপর... গালি দিয়ে বলেন, ‘তোকে অ্যারেস্ট করতে এখন ভাটারা থানার পুলিশ যাচ্ছেসার্চ ওয়ারেন্ট হইছেআসামি তুই আর তোর জামাইতুই আমার সাথে চ্যালেঞ্জ দিবি? আমার সাথে চ্যালেঞ্জ দিয়ে তুই আমার চাকরি খাইছিসমিডিয়ায় সবকিছু দিছিস তুই
ওপাশ থেকে কেঁদে কেঁদে সংবাদ পাঠিকা বলছেন, ‘আমি কাউকেই কিছু দেইনিএবার ভয়ংকর মিজান বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে তুই উত্তরা ছাড়বিনা হলে তোরে মাইরা ফালামুযা হয় হবেরেকর্ড কইরা রাখ

এরপর কাঁদতে কাঁদতে সংবাদ পাঠিকা বলছেন, ‘প্লিজ আমাকে মাইরেন নাআমার বাচ্চার জীবনটারে নষ্ট কইরেন নাআমি কিচ্ছু করিনিএরপর ডিআইজি মিজান বলেন, তুই আসিস না কেন, আমি ডাকলে?’ জবাবে সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘আমি মেন্টালি ভালো নেইখুব অসুস্থজবাবে মিজান বলেন, ‘তোর জামাইরে বের হতে বলটুকরা টুকরা করবআর তোরে করব ৬৪ জেলায় ৬৪ টুকরা।... (প্রকাশযোগ্য নয়)আমার কথার বাইরে যদি চলস তোকে আমি মাইরা ফালামু

এরপর বলেন, ‘এখন তুই আত্মহত্যা করবিনা হলে তোরে মাইরা ফালামু আমিপৃথিবীর কোনো শক্তি নাই তোকে বাঁচায়তোরে পাহারা দিতে ১০টা মোটরসাইকেল থাকবে আমার বিরুদ্ধে কথা বলবি-না? জিডি কইরা রাখছি উত্তরা পশ্চিম থানায়তুই আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লাইক দিবি এ কারণে জিডি কইরা রাখছিএরপর ওপাশ থেকে কেঁদে কেঁদে সংবাদ পাঠিকা বলছেন, ‘আপনার যা কিছু করার করেনআমি ইকো নাএর জবাবে ডিআইজি মিজান বলেন, ‘তা হলে আয়, আমার কাছে আয়এ কথার পর সংবাদ পাঠিকা কেঁদে উঠলে আবারও উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘২৮ বছরের চাকরিজীবন ধ্বংস করেছিস

সরি বল, কিচ্ছু বলব নাজবাবে সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘আমার গলায় ছুরি লাগালেও বলব আমি কিছু করিনিআবার উত্তেজিত কণ্ঠে মিজান বলেন, ‘৬৪ টুকরা করব তোকেতোর মাথা থাকবে জিরো পয়েন্টেতোর যদি সাহস থাকে আবার বাইরে আয়তোকে যেখানে চাকরি দেয়া হবে সেখানে অশ্লীল ছবি যাবে তোরর‌্যাবের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মিজান বলেন,... ওদের বল তোকে বাঁচাইতেতবে আমার সাথে ভদ্রভাবে চল তাহলে পৃথিবীর কোনো মানুষ তোকে টাচ করতে পারবে নাওপাশ থেকে কান্নার আওয়াজএরপর আবার মিজান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করওপাশ থেকে সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘আমি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করব না

তবে এই জীবন আমি চাই নাআমাকে জেলে পাঠানজবাবে ডিআইজি মিজান বলেন, ‘ওকে পুলিশ আসতেছেথানা থেকে ফোন করেনি?’ জবাবে সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘পুলিশ পাঠান, আমি বাসায়ই আছিএরপর মিজান আবারও উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘তোকে তিনশ ফিটে নিয়ে ইজ্জত হরণ করতে চাইছি? মানুষকে জড়ো করে বলছিস না? যেদিন মানুষ জড়ো করে অপমান করছিস এর রেজাল্ট আমি মিজান যদি বেঁচে থাকি, আমি কুত্তার বাচ্চা না হই, আমার বাবা যদি আমাকে পয়দা করে থাকে, তাহলে তোরে আমি দেখাবতুই যদি আমার... ছিঁড়তে পারিস

আমাকে সাসপেন্ড করাইছিস না? করবাঁচতে চাইলে মিডিয়ায় যাইয়া বলবি, আমি ভুল করছিউনাকে অপমান করে আমি ভুল করছিএই বলে মিডিয়ায় স্টেটমেন্ট দিবিনা হলে তোর জামাই, সংসারসহ সব ছিন্নভিন্ন কইরা ফালামু আমিসাহস থাকলে বের হয়ে আয়আমার লোকজন আছে, আমিও আছি এখনআমার চাকরি তো নাই এখন নুড ছবি ইউটিউবে যাবে, ফেসবুকে যাবে, সব মিডিয়ায় যাবেআর আমার সঙ্গে ভালো হয়ে চল, ভদ্র হয়ে চল, কিচ্ছু হবে না তোরতোকে শেল্টার আমি মিজান দেবজবাবে সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘না আমি কিচ্ছু করিনিকোনো অভিযোগ করিনিএবার মিজান বলেন, ‘কেন? প্রগতি সরণিতে লোকজন ডেকে বলছিলি না?’

জবাবে সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘সেদিন আমারে মারলেন কেন? এ জন্যই আমি ক্ষেপেছিলামজবাবে মিজান বলেন, ‘এখন বাইরে আয়তোকে মেরে অ্যারেস্ট হবএকটা গুলি মারমুঅনলি একটা মারমুতোর জামাই কই? ওর চাকরি আছে? এখন বের হয়ে আয়সেদিন তো একটা মোটরসাইকেল দেখছিলিপেছনে আরও ৮টা মোটরসাইকেল ছিল একেবারে ভেতরে ডুকাইয়া দিবআর ভদ্রভাবে আমার সাথে চলবি, আমার ফ্যামিলির কাছেও যাবি, রত্নাকে (স্ত্রী) সরি বলবি, আমাকে সরি বলবি, লিখিতভাবে মিডিয়াকে বলবি- আমি যে কাজটি করেছি ভুল করেছিউনার সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্কআমিও বলবজবাবে সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কাছে আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি

এরপর মিজান বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ নামায় বলেছিস তোকে আমি থাপ্পড় দিছিপুলিশের ডিআইজির ওপর হাত দিছিস তুইতুই জানিস, একটা ডিআইজি পয়দা করতে সরকারের কত টাকা খরচ হয়? এখন আসবিএখন আমার গাড়িতে উঠবিকান্নাকাটি করার দরকার নাই তোরতোকে সেভ করব আমিপৃথিবীর কেউ সেভ করতে পারবে নামিডিয়ায় প্রকাশ্যভাবে ক্ষমা চাইবিএ সময় সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘আমি কেন ক্ষমা চাইব? আমি আপনার বিরুদ্ধে কিছুই করিনি

জবাবে মিজান বলেন, ‘কোরআন শরিফ ছুঁয়ে বলতে পারবি তুই কিছুই করস নাই?’ জবাবে সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘কোরআন শরিফ ছুঁয়ে বলতে পারব আমি কিছুই করিনিএবার মিজান বলছেন, ‘ঠিক আছে, ভাটারা থানার মামলায় অ্যারেস্ট হওতারপর অন্য কথা বলবঅডিওতে এসব কথোপকথন সম্পর্কে সংবাদ পাঠিকা বলেন, ‘ভাই এরকম অসংখ্য হুমকিতে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছিআমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুবিচার চাইতিনি নারীর মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি করে দিয়েছেন

কিন্তু একজন দুর্নীতিবাজ লম্পট পুলিশ অফিসার এখনও কী করে চাকরিতে বহাল থাকে তারও তদন্ত হওয়া প্রয়োজনডিআইজি মিজানের এ হুমকির আড়ালে আছে অনৈতিক প্রস্তাব তিনি বলেন, ‘যে দেশের প্রধানমন্ত্রী মহিলা, বিরোধীদলীয় নেত্রী মহিলা, স্পিকার মহিলা, শত শত কর্মকর্তা মহিলা, সে দেশে একজন নারীর সম্ভ্রমহানির জন্য প্রকাশ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা দিনের পর দিন হুমকি দিয়ে যাবে সেটা কী করে সম্ভব?

তার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশের সমস্ত দায় সংবাদ পাঠিকাকে নিতে হবে বলে টেলিফোনে প্রতিদিন হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাধর এই পুলিশ কর্মকর্তা এমনকি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সংবাদ পাঠিকার ছবি বিকৃত করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছেযুগান্তরকে তিনি জানান, ডিএমপির সাইবার ইউনিট অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগে উপস্থিত হয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ জমা দেন
সপরিবারে হত্যার হুমকিতে উদ্বিগ্ন হয়ে বিমানবন্দর থানায় জিডি করতে গেলে চার দিনেও সেটি রেকর্ড হয়নিএ অবস্থায় হুমকিদাতার নাম গোপন করে সাভার থানায় কৌশলে সংবাদ পাঠিকার ব্যবসায়ী স্বামী সাধারণ ডায়েরি করতে সক্ষম হয়েছেন

তবে ডিআইজি মিজানের অব্যাহত হুমকির কারণে কয়েক মাস ধরে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকেও বের হতে পারছেন নাযে চ্যানেলে সংবাদ পাঠ করতেন নিরাপত্তার অভাবে সেখান থেকেও ছুটি নিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীএ অবস্থায় তিনি জীবনের নিরাপত্তা ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন

এদিকে ডিআইজি মিজানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক না রাখলে উল্লিখিত সংবাদ পাঠিকাকে সপরিবারে হত্যার হুমকি সংক্রান্ত অডিও রেকর্ড যুগান্তরের কাছে এসেছেঅডিওতে কয়েকজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে ডিআইজি মিজানকে নানা ধরনের কটূক্তি করতেও শোনা যায়

গত ১০ এপ্রিল বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগে সংবাদ পাঠিকা বলেন, পুলিশ সদর দফতরে প্রত্যাহার হওয়া ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান গত ২৯ মার্চ দুপুর অনুমান ২টার দিকে ০১৭৯৪২০২০২০ নম্বর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে সপরিবারে প্রাণনাশের হুমকি দেনসেই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনসহ গণমাধ্যমের কর্মীদেরও জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়তিনি যদি বাসা থেকে বের হন বা অফিসে যান তাহলে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করারও হুমকি দেন

এমনকি অশ্লীল ছবি তৈরি করে প্রচারেরও হুমকি দেন ডিআইজি মিজানওই হুমকি দেয়ার দিন রাতেই দেশি মাল’ (ইংরেজিতে) নামে একটি ফেসবুক পেজ অ্যাকাউন্টের তথ্য পান তিনি ফেসবুকের ওই পেজে তার ছবি ও তথ্য দেখতে পানঅভিযোগে ওই লিঙ্কটিও তুলে ধরা হয়েছেএর আগে নিরাপত্তাজনিত হুমকি পেয়ে ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর তারিখেও গুলশান থানায় একটি জিডি করেছিলেনসংবাদ পাঠিকা ধারণা করছেন, তার উত্তরার বাসার তিন নিরাপত্তাকর্মী ডিআইজি মিজানকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেঅভিযোগে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আমার পরিবারের প্রত্যেকের মুঠোফোনের নম্বর অনুসরণ করা হয়ইতিপূর্বে আমার স্বামীও এ সংক্রান্ত হুমকি পেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি সাভার থানায় জিডি করেছেন। এ বিষয়ে ওই সংবাদ পাঠিকা যুগান্তরকে বলেন, ১০ এপ্রিল বিমানবন্দর থানায় উপস্থিত হয়ে জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করতে যাইকিন্তু ওসি অভিযোগে নানা ধরনের অসঙ্গতি তুলে ধরে জিডি না নেয়ার কৌশল করেন

শেষ পর্যন্ত ওসি বলেন, মামলা করতে হবেতখন মামলাই করব বলা হলে ওসি বলেন, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে আমাকে বিদায় করে দেনতিনি বলেন, ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে দেশি মালপেজ খুলে আমার ছবি অশ্লীলভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগ এনে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ডিসির কাছে আবেদন করেছি

সাইবার অপরাধ সম্পর্কে তথ্য ফরমে সন্দিগ্ধ ব্যক্তির নামের স্থানে মিজানুর রহমানের নাম দেয়া হয়েছেপুলিশের ওই কর্মকর্তা ছাড়া তার আর কোনো শত্র নেই বলেও জানান এ সংবাদ পাঠিকা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিআইজি মিজানকে তো আমি মামা বলে ডাকিমামাকে তো আমি তুমি সম্বোধন করতেই পারিএ ছাড়া তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরে পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠতা হয়সেই সুযোগে তিনি আমাকে জিম্মি করার চেষ্টা করেননানাভাবে প্রলোভন দেখানগাড়ি-বাড়ি দেয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেনএসব লোভে আমাকে ফেলতে পারেননিশেষ পর্যন্ত স্বামীকে উল্টাপাল্টা বলে পারিবারিকভাবে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেনএটা এখন সহ্য করার মতো নয়। সূত্রঃ যুগান্তর


শেয়ার করুন

0 facebook: