![]() |
গতকাল রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নির্বাচন ও আন্দোলন ইস্যুতে উপদেষ্টা-ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিকাল ৩টা থেকে পর্যায়ক্রমে সম্পাদকমণ্ডলী, চেয়ারপাপরসনের উপদেষ্টা ও দলের ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে এই বৈঠক হয়। বিকাল তিনটায় প্রথম দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নীতিনির্ধারকরা।
এ সময় উপস্থিত নেতাদের মতামত নেন তারা। তারা বলেছেন, মামলা-হামলার কারণে নেতারা নিজ নিজ এলাকায় যেতে পারছেন না, কার্যালয়ে বসতে পারছেন না। অথচ ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। এ অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়া হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এ ছাড়াও খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে গেলে তৃণমূল গ্রহণ করবে না বলেও আশঙ্কার কথা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্পাদকদের মধ্যে দুজন নেতা ছাড়া সবাই বর্তমান অবস্থায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে মত দেন।
বৈঠকে একজন যুগ্ম মহাসচিব ও একজন সম্পাদক নির্বাচনের যাওয়ার পক্ষে মত দেন। তারা যুক্তি দিয়ে বলেন, নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়েছে। এ কারণেই গত মঙ্গলবারের সমাবেশে এত সংখ্যক নেতা-কর্মীর সমাগম হয়েছিল। নির্বাচনে না গেলে এ আমেজ থাকবে না। সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলের ভাইস-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকে নির্বাচন ও আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামত সারসংক্ষেপ করা হয়। সূত্র জানায়, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির আট সদস্য সাক্ষাৎ চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গত ৮ অক্টোবর চিঠি দিয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করার অনুমতি পেতে পারেন। না হলে আন্দোলন ও নির্বাচন নিয়ে করণীয় বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের তৈরি করা সারসংক্ষেপ আইনজীবীদের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কাছে পাঠানো হতে পারে। অন্যদিকে লন্ডনে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে একই সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। এটি পাঠানোর পর বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, নাকি আন্দোলনে যাবে- এ বিষয়ে দুই শীর্ষ নেতা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
0 facebook: