স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বাস টার্মিনালগুলো ও কমলাপুর রেল স্টেশন যাত্রীদের ভিড়। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করেন শত শত মানুষ। একই চিত্র লক্ষ্য করা যায় মহাখালী, গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাটে। ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে ভোট উৎসব। আর এই উৎসবকে সামনে রেখে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সাধারণ মানুষ ছুটছেন নিজ নিজ এলাকায়। হঠাৎ টিকিট প্রত্যাশীদের চাপে তৈরি হয় দীর্ঘ লাইন। টিকিট পেতে বিলম্বের অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
কমলাপুর স্টেশন মাস্টার জানান, ভোর থেকে শত শত যাত্রী টিকেটের জন্য কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। কেউ কাঙ্খিত টিকিট পাচ্ছেন, কেউ বা বিফল হচ্ছেন। তিনি জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষ আগে থেকেই টিকিট কেটে রেখেছে। অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। সে কারণে অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মোহিত জানান, তিন দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যেতে চান তিনি। টিকেটের আশায় তাই সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে স্ট্যান্ডিং টিকেট ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানালেন তিনি।
তবে টিকিট পেলেই তিনি খুশি। বাড়ি যাওয়াটাই মূল কথা, হোক তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে। জামালপুরর যাত্রী আসিক অভিযোগ করে বলেন, কাউন্টারে টিকেট নেই, কিন্তু ব্ল্যাকারদের কাছে ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এসব টিকেট ব্ল্যাকারদের হাতে চলে গেছে। জামালপুরের ট্রেন সময়মতো স্টেশনে আসছে না বলেও অভিযোগ করলেন তিনি। সেখানে সুমনা নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, লম্বা ছুটি পেয়েছি। এক ধরনের ঈদ ঈদ অনুভূত হচ্ছে। পরিবার নিয়ে ভোট দিতেই সিলেটে যাচ্ছি। অনেক মজা করবো, ভোটও দেব। ভিড়ের কারনে ট্রেনগুলো আস্তে চলছে উল্লেখ করে কমলাপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এখন পর্যন্ত কোন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। সাবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে বাড়ীতে ফিরতে পারছেন। যাত্রীদের চাপ সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করে বিমানবন্দর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে কমর্রত আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোট দেয়ার জন্য মানুষ ট্রেনযোগে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
গাবতলি বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় থাকা রিফাত নামের একজন বললেন, ভোট দেয়ার জন্য রংপুরে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। টানা চারদিন ছুটি থাকায় পরিবার নিয়েই যাচ্ছি। তার ওপর বাচ্চাদের ছুটি। সব মিলিয়ে সোনায় সোহাগা। তবে কাক্সিক্ষত টিকিট না পাওয়ায় হতাশও হচ্ছেন কেউ কেউ। মোহাম্মদ জারিফ সরকার নামে একজন বলেন, ‹রংপুর থেকে আমার খালা এসেছেন কয়েকদিন আগে। এখন ফিরে যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু অনেক ঘোরাঘুরি করেও টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারলাম না। ভোটের আগে টিকিট পাবো বলেও মনে হচ্ছে না।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: