![]() |
প্রতিকি ছবি |
অভিযোগ, পারিবারিক প্রথার নামে এ ভাবেই দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বাড়িতেই ধর্ষিতা হয়েছেন ওই মহিলা। মহিলার অভিযোগ, এতেই অত্যাচার শেষ হয়নি। তাঁর নিজের স্বামীও তাঁকে বাধ্য করতেন বিকৃত যৌনতায় সঙ্গ দিতে। প্রতিবাদ করায় জোটে শারীরিক নির্যাতন। অভিযোগ, পণের টাকার জন্য বাড়তে থাকে চাপ। কেড়ে নেওয়া হয় মহিলার বাপের বাড়ি থেকে আনা সমস্ত গয়না। নিজের বাড়িতেই এই অত্যাচার আর সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। অভিযোগ জানান কড়েয়া থানায়। রাতেই বালিগঞ্জ পার্কের অভিজাত আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ।
মহিলার স্বামী এবং ভাসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জনেই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ডিসি (দক্ষিণ পূর্ব) ডিভিশন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “পুলিশ গেলে অভিযুক্তরা পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশকে মারধরও করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধরের একটি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে।” অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক মাস পরে একদিন তাঁর স্বামী জোর করেন ভাসুরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে। তাঁর স্বামী তাঁকে বোঝান এটা পারিবারিক প্রথা। দুই ভাই তাঁদের স্ত্রীদের একে অন্যের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি করবেন। প্রথমেই সেই প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন ওই তরুণী। অভিযোগ, তার পর স্বামীর সক্রিয় সহযোগিতায় তাঁকে ধর্ষণ করে ভাসুর। অন্য দিকে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে স্বামীর বিকৃত যৌনতা। দিনের পর দিন এই অত্যাচার সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় হাজির হন ওই বধূ।
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্ষণ
0 facebook: