20 January 2019

জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে কি শপথ নিল বিএনপি?


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর রাজনীতির মারপ্যাঁচে বারবার ধরাশায়ী বিএনপি সাংগঠনিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেতাই এ মুহূর্তে বিএনপি কর্মসূচির মধ্যেই আছেশহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে শপথ নিয়েছে বিএনপি

শনিবার চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে শপথ নিয়েছি- আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করবসর্বোপরি যিনি এ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের পতাকা ধরে আছেন কারারুদ্ধ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবআমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবএ মুহূর্তে বিএনপির করণীয় কী?

তিনি বলেন, বিএনপি কর্মসূচির মধ্যেই আছেসাধারণ মানুষ ৩০ ডিসেম্বরের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেজনগণকেও তার জায়গা থেকে প্রতিহত করতে হবেবিএনপি এ জোচ্চুরি নির্বাচনের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করবেদলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে

আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু বিশ্বাস করে না- মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে- যিনি জাতিকে স্বাধীনতায় অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তার জন্মদিনে আওয়ামী লীগ উৎসব পালন করছেপ্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে, মানুষের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করে নিয়েপ্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির কোনো টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ধরনের কথা সব সময়ই আসেআর আপনাদের বিভিন্ন রকম চমৎকার সব স্টোরির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রকমের স্টোরি আসেআসলে আমাদের মধ্যে কোনো টানাপোড়েন নেইঐক্যফ্রন্ট আছে, ২০-দলীয় জোট আছে। বিএনপির ভেতরে কোনো টানাপোড়েন আছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো টানাপোড়েন নেইবিএনপি ইউনাইটেড এজ ইট ইজ

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, রুহুল আলম চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, কায়সার কামাল, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, হারুনুর রশীদ প্রমুখঅঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, নবী উল্লাহ নবী, আনোয়ার হোসাইন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মওলা শাহিন, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ


শেয়ার করুন

0 facebook: