![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কারাগারের ভেতরে এক পাকিস্তানি বন্দীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত বন্দীর নাম সাকির উল্লাহ ওরফে হানিফ মুহম্মদ (৫০)। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের জয়পুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
বুধবার কারাগারের ভেতরে টেলিভিশনের ভলিউম বাড়ানো-কমানো নিয়ে অন্য কয়েকজন বন্দীর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। তর্কের এক পর্যায়ে কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পেছনে তিন কয়েদির হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
রাজস্থান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রথম) লক্ষণ গৌর জানান, ‘বুধবার দুপুর ১ টার দিকে কারাগারের কক্ষের মধ্যে বসে চার বন্দী টিভি দেখছিল। এসময় টিভির ভলিউম কমানো নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এসময় বাকী তিন বন্দী সাকির উল্লাহর মাথাকে মেঝের মধ্যে ঠুকে দেয়। আর তাতেই মৃত্যু হয় পাক বন্দীর।’ এখন পর্যন্ত বিষয়টি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে ঘটনার সময় সেখানে নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ফরেন্সিক টিম। বাড়ানো হয়েছে কারাগারের নিরাপত্তা। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোটের বাসিন্দা সাকির উল্লাহকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১১ সালে ‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট’-এ গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকেই গত আট বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন সাকির উল্লাহ। এদিকে ২০১৭ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ভারতীয় আদালত।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টা ১৫মিনিটের দিকে পুলওয়ামায় ভারতের সিআরপিএফ কনভয়ে হামলায় ৪৯ জওয়ান নিহত হয়। হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারতে বসবাসরত মুসলমান ও কাশ্মীরিদের ওপর হামলা এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এর মধ্যেই কারাগারের ভেতরে পাকিস্তানি বন্দীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: