কমছে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, সুরমা নদীর পানি। বাড়ছে করতোয়া ও বাঙালি নদীর পানি। গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি ধীর গতিতে কমছে, তবে বাড়ছে করতোয়া নদীর পানি। এতে নতুন করে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যায় এখনও বিচ্ছিন্ন ফুলছড়ি ও সাঘাটার সাথে গাইবান্ধা জেলার সড়ক যোগাযোগ। রেল লাইন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ট্রেন যোগাযাগও বন্ধ রয়েছে।
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কিছুটা কমলেও কমেনি দুর্ভোগ। পানি না নামায় কয়েক হাজার পরিবার দশ দিনের বেশি সময় ধরে নৌকায় বসবাস করছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি সামান্য কমেছে। চরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি ও খাবাবের সংকট দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে চর্মসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ। আর ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বন্যার্তরা। দুর্গত এলাকায় কোন মেডিক্যাল টিমও দেখা যায়নি।
বগুড়ায় যমুনার পানি কমলেও বাড়ছে বাঙালি নদীর। জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার এক লাখেরো বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে ৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নদীতীর রক্ষা বাঁধের আশ্রয় নেয়া বন্যার্তরা রান্না ও পয়:নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিয়েও পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
জামালপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। অনেক এলাকায় ত্রাণ পৌঁছেনি বলে অভিযোগ করেছেন বন্যার্তরা।
কিছুটা উন্নতি হয়েছে শেরপুর ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি। তবে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ।
এদিকে তীব্র স্রোতে কয়েকদিন ধরেই ব্যাহত হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচল। ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: