'বুলবুল'-এর
আঘাতের ক্ষত না শুকাতেই ভারত মহাসাগরে সম্ভাব্য পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিকাল
অর্গানাইজেশন এর তালিকায় পরবর্তী সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘পবন’। এ
নামটির শ্রীলংকার দেয়া। তার পরের ঘূর্ণিঝড়টির
নাম রাখা হয়েছে আমফান। এটি থাইল্যান্ডের দেয়া নাম।
ওদিকে,
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর আনুযায়ী- সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয়
উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে চলে গেছে।
আজ ছিল অনেকটাই সূর্যোজ্জল দিন। তবে রাজধানীতে কোথাও একটু মেঘ বা হালকা বৃষ্টি দেখা
গেছে।
ঘূর্ণিঝড়
‘বুলবুল’ এর তাণ্ডবে উপকূলীয় ১১ জেলায় ঘর ও গাছচাপা পড়ে নারীসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে খুলনায় ২ জন, বাগেরহাটে ২ জন, পটুয়াখালী ১ জন, পিরোজপুরে ১ জন, মাদারীপুরে
১ জন, ভোলায় ১ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন, শরীয়তপুরে ১ জন, বরিশালে ১ জন, গোপালগঞ্জে ১ জন
বরগুনায় ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া,
ঘূর্ণিঝড়ে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, বিপুলসংখ্যক গাছ উপড়ে পড়েছে। কয়েকটি স্থানে
বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং ভেসে গেছে চিংড়ি চাষের ঘের। ঝড়ে দক্ষিণাঞ্চলে
প্রধান ফসল আমন ও উচ্চ ফলনশীল অন্যান্য ধান,
শীতকালীন সব্জির আবাদ, কলা ও পান চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সরকারি
হিসাব অনুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলের ২১ জেলার ৯৫ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইনের ওপর গাছ পড়ায় এবং বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়
বিদ্যুৎহীন রয়েছেন ৫০ লাখ গ্রাহক।
ক্ষতিগ্রস্ত
জেলা থেকে অনেকেই গণমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে যাবার কারণে আশ্রয়হীন
অবস্থায় রয়েছেন, খাবার রান্না করে খেতে পারছেন না এমনকি সরকারি ত্রাণ সাহায্যও তাদের
কাছে পৌঁছায় নি।
এদিকে,
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে তিন দিন বন্ধ থাকার পর সারা দেশে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক
হয়েছে। সোমবার থেকে পুরোদমে স্বাভাবিক হয়েছে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচল।
চলছে লঞ্চ ও স্পিডবোটযোগে যাত্রী পারাপার।
ওদিকে,
বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় এবং সাগরে ঝড়ের সংকেত প্রত্যাহার হওয়ায় টেকনাফের সেন্টমার্টিন
দ্বীপে আটকাপড়া প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার
দিকে তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে জাহাজ ৩টি
সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়। পরে ১টার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটকদের নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশে
রাওনা করে।
এদিকে
২৪ জেলেসহ মাছ ধরার নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে মেঘনা নদীর বিভিন্ন
পয়েন্টে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কোস্টগার্ড
অপারেশন অফিসার জানান, এ পর্যন্ত একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। জীবিত উদ্ধার হয়েছে ১০
জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১৩ জন। তথ্যসূত্রঃ ফাষ্টটুডে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: